ঘুমধুমে স্থলবন্দর করার পরিকল্পনা সরকারের: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
Published: 8th, February 2025 GMT
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে স্থলবন্দর নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। আজ শনিবার সকালে তিনি ঘুমধুম সীমান্ত সড়ক ও স্থলবন্দরের সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন।
এ সময় এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ভবিষ্যতে মিয়ানমারে যা–ই থাকুক না কেন, আমাদের সঙ্গে রাখাইন রাজ্যের একটা সম্পর্ক আগে ছিল, এখনো আছে এবং থাকবে। রোহিঙ্গারা যেহেতু ওই এলাকার। কাজেই ওটাও দেখব, ভবিষ্যতের জন্য একটা পরিকল্পনা করে রাখব, যাতে এখানে একটা স্থলবন্দর করা যায়।’
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে নৌপথের চেয়ে স্থলপথ সুবিধাজনক। ঘুমধুমের এশিয়ান অঞ্চলের আন্তদেশীয় মহাসড়ক দুই দেশের যোগাযোগব্যবস্থার জন্য সহজ। টেকনাফে আমাদের একটা বন্দর আছে মিয়ানমারের সঙ্গে। একই সঙ্গে ঘুমধুমে স্থলবন্দর নির্মাণেরও সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। এটিই হবে আরাকান বা রাখাইনের সঙ্গে আমাদের সহজ স্থল যোগাযোগ। টেকনাফ বন্দরকে আমরা স্থলবন্দর বলি, আসলে এটা স্থলবন্দর না। এটা হয়তো নৌবন্দরে পরিণত হবে। সেই সঙ্গে এটিকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীন ন্যস্ত করা যেতে পারে।’
উপদেষ্টার সফরকালে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মানজারুল মান্নান, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.
পরে উপদেষ্টা কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর ও মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শন করেন। ইয়াঙ্গুন থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর পর্যন্ত বাণিজ্য কীভাবে সচল রাখা যায়, সেই চেষ্টাও চলছে বলে জানান এম সাখাওয়াত হোসেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘টেকনাফ স্থলবন্দর ঘুরে দেখেছি, এটি নৌপরিবহন, সমুদ্রবন্দর নাকি স্থলবন্দর থাকবে, সেটি আমরা দেখছি।’
টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শনকালে এ বন্দরের বিভিন্ন সমস্যা ও অনিয়মের বিষয় উপদেষ্টার সামনে তুলে ধরেন স্থলবন্দরটির সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর, সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ। এ সময় উপদেষ্টা এসব সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন ব্যবসায়ীদের।
উপদেষ্টার টেকনাফ স্থলবন্দর সফরকালে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থলবন্দর পরিচালনাকারী ইউনাইটেড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার জায়েদ আহসান, টেকনাফের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নিজামী, টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।
গত ১৬ জানুয়ারি থেকে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ইয়াঙ্গুন থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে পণ্যবাহী কার্গো বোট আটকের ঘটনায় জান্তা সরকার সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে। যার কারণে ২৩ দিন ধরে ইয়াঙ্গুন থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে কোনো পণ্যবাহী বোট আসেনি।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আখাউড়া দিয়ে ভারত থেকে এলো সাড়ে ১২ টন জিরা
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে জিরা আমদানি করা হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাড়ে ১২ টন জিরা বন্দরে খালাস করা হয়। এর আগে সোমবার ১২ টন জিরা নিয়ে একটি ট্রাক বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।
জানা গেছে, সারা এগ্রো এনিমাল হেলথ এবং সততা ট্রেডিং নামে দুটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই জিরা আমদানি করেছে। কাস্টমস ক্লিয়ারিং ও ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে আখাউড়া স্থলবন্দরের মেসার্স আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।
আখাউড়া কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রতি কেজি জিরা প্রায় ৩ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২৭ টাকায় আমদানি করা হচ্ছে। গত কয়েক দিনে মোট ৩৬.৫ টন জিরা আমদানি হয়েছে, যার মাধ্যমে ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৯০ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মাহমুদুল হাসান বলেন, চলতি বছরে এর আগেও কয়েকবার এই বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি হয়েছে। ঈদুল আজহা সামনে রেখে আরও আমদানির সম্ভাবনা রয়েছে।