চট্টগ্রাম নগরের বলুয়ার দিঘির পাড়ে বসতঘরে আগুন লেগে এক নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আহত হয়ে তিনজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আজ সোমবার সকাল পৌনে সাতটার দিকে বলুয়ার দিঘির পশ্চিম পাড়ের জাফর সওদাগরের কলোনিতে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন মো. ইলিয়াছ (৫০) ও পারভিন আক্তার (৪৫)। আহত ব্যক্তিরা হলেন মো.

ফয়সাল (১৯), মো. সোহান (১৯) ও শাহীনা আক্তার (২৩)। ফায়ার সার্ভিস ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, আগুন নেভানোর পর পাঁচজনকে আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর তিনজনকে হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

হতাহত ব্যক্তিদের শরীরে পোড়ার ক্ষত নেই। তবে ধোঁয়ায় তাঁদের শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানান। বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান মো. রফিক উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে আহত তিনজনের শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অপর দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, তারা সকাল ৬টা ৪২ মিনিটে আগুনের সংবাদ পায়। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। সকাল আটটার দিকে আগুন নেভানো হয়। ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, পাঁচটি কাঁচা ঘর পুড়ে গেছে। এতে আনুমানিক ক্ষতি ১৫ লাখ টাকা। ওই ঘরগুলো থেকে আহত অবস্থায় পাঁচজনকে বের করে আনা হয়। তাঁদের মধ্যে ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে দুজন মারা যান।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

বৈদ্যুতিক মিটার বিস্ফোরণের পর ১১ বসতঘরে আগুন

একটি ঘরের বৈদ্যুতিক মিটার বিস্ফোরণের পর সূত্রপাত হয় আগুনের। এরপর তা ছড়িয়ে পড়লে পুড়ে যায় ১১টি বসতঘর। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের পশ্চিম মনকিচর ২ নম্বর ওয়ার্ডের কালু মাঝির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘরগুলো আবুল কালাম, মরিয়ম বেগম, নুরুল আলম, রেহানা বেগম, মনির উদ্দিন, নুর মোহাম্মদ, মিনার বেগম, রোজিনা বেগম, রহিমা বেগম, মো. শাকিল ও কহিনুর আক্তারের। ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাত ২টা ৫ মিনিটের দিকে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় রাত ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

শীলকূপ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাশেদ নুরী প্রথম আলোকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রাথমিকভাবে ৫০ কেজি করে চাল ও ২টি করে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আগুনে ১১টি ঘরে অন্তত ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য সিদ্দিক আকবর।

বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বৈদ্যুতিক মিটার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত। এরপর ঘরগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়লে সেখানে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সালিশে বেত্রাঘাত করায় সংঘর্ষ, ছাত্রদল নেতাসহ আহত ৬
  • কলাপাড়ায় বসতঘর থেকে স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
  • বৈদ্যুতিক মিটার বিস্ফোরণের পর ১১ বসতঘরে আগুন