পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সহকারী সচিব/সহকারী পরিচালক পদে পরীক্ষার ফল প্রকাশ, মৌখিকের তারিখ ঘোষণা
Published: 10th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী সচিব/সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) পদের লিখিত (রচনামূলক) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষার নির্বাচিত প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা ১১, ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, নিকুঞ্জ–২, খিলক্ষেত, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে মৌখিক পরীক্ষা। ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি বেলা আড়াইটা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে মৌখিক পরীক্ষা। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২ শিফটে হবে মৌখিক পরীক্ষা। প্রথম শিফটে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় শিফটে বেলা আড়াইটা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে মৌখিক পরীক্ষা।
আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া দিচ্ছে ‘ভাইস চ্যান্সেলর ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ’, টিউশন ফির ৫০ শতাংশসহ নানা সুযোগ ২ ঘণ্টা আগেনির্বাচিত প্রার্থীদের যা যা অনুসরণ করতে হবে—১.
মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য পৃথক কোনো প্রবেশপত্র ইস্যু করা হবে না। লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষার প্রবেশপত্র অবশ্যই সঙ্গে আনতে হবে।
২. অনলাইনে আবেদনের পর প্রাপ্ত Applicant's Copy ও Admit Card (২ কপি) মৌখিক পরীক্ষার সময় দাখিল করতে হবে। অন্যথায় মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না।
৩. মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সময় সব শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ, অভিজ্ঞতা সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), সর্বশেষ অধ্যয়নকৃত প্রতিষ্ঠানপ্রধান কর্তৃক প্রদত্ত চারিত্রিক সনদ/প্রশংসাপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র, জাতীয়তা/নাগরিকত্ব সনদ ইত্যাদি নিয়োগ কমিটির কাছে প্রদর্শন করতে হবে।
৪. সব কাগজপত্রের ২ (দুই) সেট সত্যায়িত ফটোকপি এবং সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ২ (দুই) কপি সত্যায়িত রঙিন ছবি মৌখিক পরীক্ষার সময় জমা প্রদান করতে হবে।
আরও পড়ুনপল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সহকারী পরিচালক পদে মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে করণীয়০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫৫. কোনো প্রার্থীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত শর্তাদির কোনো শর্ত প্রতিপালিত হয়নি মর্মে প্রমাণিত হলে নিয়োগপ্রক্রিয়ায়/নিয়োগের যেকোনো পর্যায়ে তাঁর নিয়োগ আবেদন বাতিল করা হবে।
৬. মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীকে কোনো টিএ/ডিএ প্রদান করা হবে না।
*নির্বাচিত প্রার্থীর তালিকা দেখুন এখানে
আরও পড়ুনআয়ারল্যান্ড দিচ্ছে স্কলারশিপ, সুযোগ পাবেন যাঁরা০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম খ ক পর ক ষ পর ক ষ র সহক র গ রহণ
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।
প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।
মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।
নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।