চট্টগ্রাম নগরীতে টিনশেড একটি বসতঘরে আগুন লেগে দগ্ধ হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নগরীর কোতোয়ালী থানার বলুয়ার দিঘীর পশ্চিমপাড়ে জাফর সওদাগর কলোনির টিনশেড ঘরে এই আগুন লাগে।
নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। আহতরা হলেন-ফয়সাল (১৯), সোহান (১৯) ও শাহীন (২২)। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
চন্দনপুরা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোকাররম হোসেন জানান, সকাল পৌনে ছয়টার দিকে আগুন লাগার খবর পান তারা। ফায়ার সার্ভিসের চারটি গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনে গুরুতর আহত পাঁচজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম জানাতে পারেননি তিনি।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, আগুনে এক কক্ষবিশিষ্ট পাঁচটি ঘর পুরো এবং চারটি ঘরের আংশিক পুড়েছে। তাতে ক্ষতি হয়েছে ১৫ লাখ টাকার মতো। শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুন লাগে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষ, বাবা-মেয়ে নিহত
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-মেয়ে নিহত হয়েছে। একই পরিবারের চারজন আহত হয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার দয়ামীর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ও আহতরা সবাই একই পরিবারের বলে জানায় পুলিশ।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল পুলিশবাহী বাস, আহত ২০
৪০ বছরেও পাকা হয়নি হাওলাদারপাড়া-বারঘর সড়ক
এতে নিহতরা হলেন প্রাইভেটকার চালক ও ওসমানীনগর পজেলার উমরপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর গ্রামের মো. সফিক মিয়ার ছেলে মো. হারুন মিয়া (৩১) ও তার মেয়ে আনিসা (৮)। আহতরা হলেন নিহত হারুনের তিন বোন রাইমা বেগম, মুন্নি বেগম, পান্না বেগম ও ভগ্নিপতি মুকিত মিয়া।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পাশাপাশি আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ সরকার দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে জানান, নিহতের লাশ ও দুঘটনাকবলিত দুটি গাড়ি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেট থেকে হবিগঞ্জগামী বাসের সঙ্গে বিপরীতদিক থেকে আসা প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলে প্রাইভেটকারের চালক হারুন মিয়া ও তার মেয়ে আনিসা মারা যায়।
সিলেট জেলা বাস-মাইক্রোবাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আলী আকবর রাজন বলেন, ‘‘সড়ক দুর্ঘটনায় উমরপুর-খাদিমপুর শ্রমিক সংগঠনের এক সদস্য বেপরোয়া গতির বাসের ধাক্কায় মেয়েসহ নিহত হয়েছেন। লাশ বর্তমানে মর্গে রয়েছে। আমরা তাদের পক্ষ থেকে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি।’’
ঢাকা/নুর/বকুল