নারায়ণগঞের আড়াইহাজারে অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালনা করে আড়াইহাজার যুবলীগের সহসভাপতি ও বাঞ্ছারামপুর বিএনপির চার নেতাসহ ১৩ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এদের মধ্যে মাদক সেবন অবস্থায় বি-বাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির চার নেতাকে বিশনন্দী ফেরীঘাট এলাকা থেকে এবং যুবলীগ নেতাকে আড়াইহাজার সদর থেকে এবং  অপর ৯ জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। 


গ্রেফতারকৃতরা হলো, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মাহাবুব হাসান, সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম, বাঞ্ছারামপুর পৌর বিএনপির  সাংগঠনিক সম্পাদক কামালউদ্দিন,  উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন, আড়াইহাজারের যুবলীগের সহসভাপতি  মো.

হারুণ অর রশিদ,  আড়াইহাজার উপজেলার বাগাদী   কান্দাপাড়া  এলাকার মো.খাইরুদ্দিন ইমন, কল্যান্দী এলাকার রিফাত হাসান, কামরানীরচর এলাকার হোসাইন গাজী, বগাদী কান্দাপাড়া এলাকার সোহাগ, মোসাদ্দেক হোসেন, সোনাকান্দা এলাকার আল আমিন জুয়েল রানা, মো. আবু মুছা, রাসেল। আটককৃতদের মধ্যে যুবলীগ নেতা মোঃ হারুন অর রশিদ আড়াইহাজার থানার মামলা নং ১২(৮) ২৪ মূলে গ্রেফতার কৃত আসামী। বাঞ্ছারামপুর বিএনপির চার নেতা সহ ৬ জনকে ৩৪ ধারা মূলে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বাকী ৬ জনকে ফৌঃ কাঃ আইনের ১৫১ ধারায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। 


আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালনা করে ১৩ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। তাদেরকে বিভিন্ন ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র এল ক র য বল গ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের ওপর নির্ভর করবে সংলাপের সাফল্য: আলী রীয়াজ 

গণতান্ত্রিক দলগুলোর ঐক্যের ওপর নির্ভর করবে সংলাপের সাফল্য। এ মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, অনেক বিষয়ে ঐকমত্য আছে। বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্ন মত দেখতে পাই, সেগুলো আলোচনার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হব। গণতান্ত্রিক সমাজ অবশ্যই ভিন্ন ভিন্ন মতের সমাজ। আমরা সকলেই এক ভাষায় কথা বলব না। তবে আমাদের লক্ষ্য এক। সেই জায়গায় ঐক্যবদ্ধ আছি, থাকব। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের ওপর নির্ভর করবে আমরা কতটুকু সাফল্য অর্জন করতে পারব। 

সংলাপের অংশ নেওয়া সকলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অভিন্ন উল্লেখ করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, আমরা চাই, দেশের মানুষ চায়, যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের কাছে আমাদের অঙ্গীকার ও দায় হচ্ছে, যেন সুযোগকে হাতছাড়া না করি। আমরা প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্র বিনির্মাণে প্রক্রিয়া শুরু করতে পারি। 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্যের বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে যে গণতন্ত্রের সংগ্রাম, বিশেষ করে ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন দেশের প্রাতিষ্ঠানিক সমস্ত রকম সম্ভাবনাকে প্রায় তিরোহিত করে দিয়েছিল। যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো লড়াই করেছে, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি অন্যতম অংশীদার থেকেছে। সেই প্রক্রিয়াকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া কমিশনের লক্ষ্য। 

আলী রীয়াজ বলেন, সকলে মিলে আমরা একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে চাই। এটা কেবল ঐকমত্য কমিশনের আকাঙ্খার বিষয় নয়, এটি কেবল সরকারের বিষয় নয়। আজকে আমরা যে কথা বলতে পারছি, স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্র বিনির্মাণে সকলে মিলে, সকলে একত্রে বসে কথা বলতে পারছি। পথ খুঁজবার চেষ্টা করছি। সেটা সম্ভব হয়েছে কমপক্ষে ১৪ শ’ মানুষের রক্তপাত ও প্রাণনাশের মধ্য দিয়ে। 

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সরকার প্রকৃতই বৈষম্যবিরোধী হলে মে মাসেই ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা উচিত: মুজাহিদুল ইসলাম
  • দেশে ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি: জাসদের শ্রমিক জোট
  • শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৩০ হাজার করার দাবি টিইউসির
  • স্বেচ্ছাশ্রমে চট্টগ্রামে খাল খনন করছে বিএনপি
  • গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের ওপর নির্ভর করবে সংলাপের সাফল্য: আলী রীয়াজ