হারিসের জায়গায় পাকিস্তান দলে ‘বিপিএলের আবিষ্কার’ আকিফ
Published: 11th, February 2025 GMT
পাকিস্তানের ডানহাতি পেসার হারিস রউফ ইনজুরিতে পড়েছেন। তার জায়গায় পাকিস্তানের ত্রিদেশীয় সিরিজে ডাক পাচ্ছেন ২৪ বছর বয়সী বাঁ-হাতি পেসার আকিফ জাভেদ। এমনকি পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলেও থাকতে পারেন এই পেসার।
আকিফ এবার রংপুর রাইডার্সের হয়ে বিপিএল মাতিয়েছেন। বিপিএলের যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বাধিক ২০ উইকেট নেন তিনি। ইকোনমি ছিল ৭ রানের নিচে। বিপিএলে এলিমিনেটরে রংপুর রাইডার্সের যাত্রা শেষ হয়।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে রংপুরের কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন, এবারের বিপিএলের আবিষ্কার আকিফ জাভেদ। আশা করছি দ্রুতই সে পাকিস্তানের জাতীয় দলে ডাক পাবে। আশরাফুলের কথা মতোই পাকিস্তান দলে ঢুকছেন আকিফ।
বাঁ-হাতি এই পেসার ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করতে পারেন। বাউন্সের সঙ্গে দুই দিকেই বল সুইং করাতে পারেন। তার বোলিং স্টাইল খুবই আকর্ষণীয়। আকিফ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৩ ম্যাচে ৫২ উইকেট নিয়েছেন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৩০ ম্যাচে ৩৩ ও টি-২০ ফরম্যাটে ৬৮ ম্যাচে ৮৪ উইকেট নিয়েছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।