রোজায় বিভাগীয় শহরে ট্রাকে চালসহ তিন পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি
Published: 11th, February 2025 GMT
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আসন্ন রমজান মাসে ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে বিশেষ ট্রাক সেল কার্যক্রম চালাবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এই কার্যক্রমের আওতায় ভর্তুকি মূল্য চাল, ডাল এবং ভোজ্যতেল বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান। পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ভোজ্যতেল, চাল এবং তেল এই তিনটি পণ্য ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরগুলোতেও ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। বিশেষ ট্রাক সেল হবে, রোজার মাস পুরোটাই। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসেও এই কার্যক্রম চলবে।
এদিকে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখে ৮টি বিভাগীয় শহরে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে টিসিবি’র পণ্য বিক্রির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা সরকারি কাজে দেশের বাইরে থাকায় পরিকল্পনা উপদেষ্টার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে সারাদেশের স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারগুলোর মাঝে ভর্তুকি মূল্যে নিয়মিত পণ্য বিক্রি অব্যাহত রেখেছে টিসিবি। এছাড়া গতকাল সোমবার থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী কার্যক্রম ছাড়াও খোলা ট্রাকে ভর্তুকি মূল্যে বোতলজাত সয়াবিন তেলসহ পাঁচটি পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে সংস্থাটি। এর আওতায় একজন ক্রেতা লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রাক থেকে সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি করে মসুর ডাল ও ছোলা, এক কেজি চিনি এবং ৫০০ গ্রাম খেজুর কিনতে পারছেন। এক্ষেত্রে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম রাখা হচ্ছে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি চিনি ৭০ টাকা, মসুর ডাল ও ছোলা ৬০ টাকা এবং খেজুর ও চিনি ১৫৬ টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ভ গ য় শহর উপদ ষ ট উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর
দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”
তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী