ফিক্সিংয়ের অভিযোগে নিষিদ্ধ বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার
Published: 11th, February 2025 GMT
ফিক্সিংয়ের দায়ে বাংলাদেশে নারী ক্রিকেটার সোহেলি আক্তারকে নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে তাঁকে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ করার কথা জানিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ও শাস্তি মেনে নিয়েছেন সোহেলি।
আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী পাঁচটি ধারা ভঙ্গ করেছেন সোহেলি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে একটি পক্ষের সঙ্গে চুক্তি করে ম্যাচের ফল, প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করা ও আন্তর্জাতিক ম্যাচে ইচ্ছে করে ভালো না খেলা।
এ ছাড়া আরও যেসব দুর্নীতিবিরোধী ধারা ভঙ্গের কথা স্বীকার করেছেন সোহেলি। সেগুলোর মধ্যে আছে ফিক্সিং বা এর সঙ্গে যোগসাজশের জন্য কোনো কিছু গ্রহণ করা, চাওয়া অথবা প্রস্তাব দেওয়া, সরাসরি অথবা সম্মুখে না থেকেও ম্যাচের ফলকে প্রভাবিত করার জন্য অনুরোধ, প্রলোভন দেখানো, প্ররোচিত করা।
আকসুর দুর্নীতি দমনবিরোধী কোনো ধারা ভঙ্গ করে, এমন প্রস্তাব পেয়েও তা না জানাননি সোহেলি। তদন্তের কাজে দেরি করানো, প্রমাণ নষ্টের চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
৩৬ বছর বয়সী অফ স্পিনার সোহেলির এই নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে অবগত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। এ নিয়ে জানতে চাইলে বিসিবি পরিচালক ও নারী বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমূল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেহেতু সে শাস্তি মেনে নিয়েছে। এখন আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী তা প্রয়োগ করা হবে।’
সর্বশেষ ২০২২ সালের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের হয়ে খেলেছেন সোহেলি। আট বছর বিরতির পর ওই টুর্নামেন্টের কিছুদিন আগে জাতীয় দলে ফেরেন তিনি। ২০১৩ সালে অভিষক হওয়া এই ক্রিকেটার দেশের হয়ে দুটি ওয়ানডে ও ১৩টি টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে তাঁর পাঁচ বছরের শাস্তি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে আইসিসি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আইস স
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার রাস্তায় টেসলা, রোলস–রয়েস, পোরশেসহ ২৫০০ বিলাসবহুল গাড়ি
রাজধানী ঢাকার রাস্তায় চলে বিশ্বের আলোচিত টেসলা গাড়ি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে ছয়টি টেসলা গাড়ির নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে। শুধু টেসলা নয়; রোলস-রয়েস, ফেরারি, বেন্টলি, পোরশের মতো বিলাসবহুল অভিজাত গাড়ি এখন ঢাকার রাস্তার বুক চিড়ে চড়ে বেড়ায়।
অন্যদিকে রেঞ্জ রোভার, বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো অভিজাত গাড়িও ঢাকার রাস্তায় অহরহ দেখা যায়। এ গাড়িগুলো যেন দেশের ধনীদের আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে গেছে।
সব মিলিয়ে দেশে এখন আড়াই হাজারের বেশি এমন বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি আছে। এই গাড়িগুলোর দাম ১ কোটি থেকে ১২ কোটি টাকা। দেশের একশ্রেণির অতিধনী ব্যবসায়ীরা এসব বিলাসবহুল গাড়ি চালান।
গাড়ি ব্যবসায়ীরা জানান, এমন বিলাসবহুল দামি গাড়ির গ্রাহকের সংখ্যা দেড় থেকে দুই হাজারের মতো। কেউ কেউ একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন।
দেশে বিলাসবহুল গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ ও আউডি (অনেকে অডি বলেন) ব্র্যান্ডের গাড়ি। রাজধানীর ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামের রাস্তায় এমন দামি গাড়ি মাঝেমধ্যে দেখা যায়।
এক দশক আগেও রাস্তায় বিলাসবহুল গাড়ি অনেক কম দেখা যেত। গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা ও বসুন্ধরার মতো অভিজাত এলাকায় এখন প্রায়ই দেখা মিলে রেঞ্জ রোভার, মার্সিডিজ ও বিএমডব্লিউর মতো বিলাসবহুল গাড়ি। সাধারণত রাতের দিকে অভিজাত এলাকায় এমন গাড়ির আনাগোনা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে গত ১০ বছরে আড়াই হাজারের বেশি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরে দেশে শুধু রোলস-রয়েস ব্র্যান্ডের গাড়ি আমদানি হয়েছে ১২টি। আর গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষে (বিআরটিএ) ৮টি রোলস-রয়েস নিবন্ধিত হয়েছে।
গত জুলাই মাসে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পরে রোলস-রয়েসের ‘স্পেক্টার’ মডেলের গাড়ি। যার দাম ফিচারভেদে প্রায় ১১ থেকে ১২ কোটি টাকা। তখন এই দামি গাড়ি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়।
টেসলা ব্র্যান্ডের ‘মডেল এস’ গাড়ি