জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) বলেছেন, “যেকোনো সময়ের চেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা এখন বেশি চাপের মধ্যে কাজ করছেন। গত কয়েক মাসে প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় অসংখ্য কর্মী চাকরি হারানোর কারণে তাদের মাঝে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভয়ার্ত পরিবেশে সেলফ সেন্সরশিপ চালু করেছে গণমাধ্যমগুলো।”

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এসব কথা ব‌লেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।

জিএম কাদের বলেছেন, “রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের (আরএসএফ) ২০২৪ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় বাংলাদেশ।”

ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) উদ্ধৃতি দিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরো বলেন, “গেলো কয়েক মাসে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ১৫০ জনের বেশি কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। একই সময়ে প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া থেকে প্রায় ২০০ কর্মী চাকরিচ্যুত হয়েছেন। একই সময়ে বিপুল সংখ্যক গণমাধ্যমকর্মীর চাকরি হারানো নজিরবিহীন। এরইমধ্যে চাকরিচ্যুত গণমাধ্যমকর্মীদের পরিবারে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীরা জানিয়েছেন, প্রচ্ছন্ন চাপের কারণে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না তারা। সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা বা সরকার অখুশি হবে, এমন সংবাদ প্রকাশে ভয় পাচ্ছে গণমাধ্যম। আমাদের ইন্টারভিউ করেও তা প্রকাশ করতে পারছে না গণমাধ্যমগুলো।”

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সার্বিকভাবে সামাজিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। ফলে, নিরপেক্ষ ও নির্ভীক গণমাধ্যম গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অপরিহার্য অঙ্গ।” 

সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সবার আগে গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

তিনি আরো বলেছেন, “দীর্ঘদিন থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে, নানা চাপ ও প্রতিবন্ধকতার মধ্যে গণমাধ্যমকর্মীরা কাজ করতে বাধ্য থাকেন। সাংদিকদের নিরাপত্তা ও সাংবাদিকতার মানোন্নয়নের জন্য ইউনিয়ন গঠন করা হয়। তারা সাংবাদিকদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নির্ভীক, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার প্রসার ঘটাবেন, এটাই কাম্য। কিন্তু মনে হচ্ছে, উক্ত পেশাজীবী সংগঠনগুলো অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠনের মতো দলীয় ভিত্তিতে বিভাজিত হয়ে আছে। এতে সার্বিকভাবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে না। ফলে, কোনো সরকারের আমলেই সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। এটাই বাস্তবতা। কিন্তু, সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অনেক নিরপরাধ সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতিসহ নানা ধরনের হয়রানি ও হেনস্থার শিকার হতে দেখা যায়।”

সাংবাদিকদের নিরপত্তা এবং অযথা হয়রানি বন্ধ ও চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণম ধ যমকর ম র চ কর চ য ত সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ