বনে-জঙ্গলে নয়, সরকারি দপ্তরে ঘাপটি মারা ‘ডেভিলদের’ আগে ধরুন: মির্জা আব্বাস
Published: 11th, February 2025 GMT
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ডেভিল হান্ট অপারেশন করেছেন ঠিক আছে, কিন্তু বনে-জঙ্গলে ডেভিল না খুঁজে সরকারি দপ্তরে ঘাপটি মেরে থাকাদের খুঁজে বের করুন। সরকারের সব প্রতিষ্ঠানে এখনও আওয়ামী প্রেতাত্মারা বসে আছে। এরাই এই সরকারকে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মুগদা থানা বিএনপি আয়োজিত ‘রাষ্ট্র সংস্কারে তারেক রহমানের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে এ কর্মশালা সঞ্চালক ছিলেন সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা আন্দোলন করেছি সংসদ নির্বাচনের জন্য। আর কেউ কেউ চাচ্ছেন স্থানীয় নির্বাচন। তারা জানেন না, গর্তে লুকিয়ে থাকা আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা স্থানীয় নির্বাচনে ফাঁক-ফোকর দিয়ে মাথা বের করবে। এটা অশুভ চক্রান্ত। সতর্ক থাকতে হবে যেন কোনো ষড়যন্ত্র জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দিতে না পারে।
সমাবেশে ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচির উপস্থাপন ও বিশ্লেষণ করেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দল সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদ হাবিব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপি নেতা শামছুল হুদা, ইউনূস মৃধা, যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন উর রশীদ হারুন, লিটন মাহমুদ, হাজী মনির হোসেন প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ আওয় ম ল গ ব এনপ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
গাংনীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১১টায় গাংনী বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় বিএনপির উপজেলা কার্যালয়ে হামলা এবং মোটরসাইকেল ও চেয়ারসহ বিভিন্ন জিনিস ভাঙচুর করা হয়।
আরো পড়ুন:
ভাঙ্গায় চার গ্রামের সংঘর্ষে আহত ৬০
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
গতকাল সোমবার মেহেরপুর-২ আসনে আমজাদ হোসেনকে বিএনপি মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জের ধরেই আজ সংঘর্ষ হয়।
মেহেরপুর-২ আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন অভিযোগ করেছেন, মনোনয়নবঞ্চিত মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থক ও গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়ালসহ তার ক্যাডার বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। হামলায় অন্তত বিএনপির ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
 
এ বিষয়ে জানতে জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বনী ইসরাইল জানিয়েছেন, দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর গাংনীতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে কাজ করছে পুলিশ।
আমজাদ হোসেনের সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন, প্রথমে মিল্টনের সমর্থকরা একতরফাভাবে হামলা করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।
অন্যদিকে, মিল্টনের সমর্থক গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু অভিযোগ করেছেন, আমজাদ হোসেনের লোকজন তাদের অফিস ভাঙচুর করেছেন।
ঢাকা/ফারুক/রফিক