ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শুরু হতে যাচ্ছে বাংলা চলচ্চিত্রের সর্ববৃহৎ উৎসব ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসব ১৪৩১’। ঢাবি চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে এবছর উৎসবের ২৩তম আসর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫ দিনব্যাপী এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘বসন্তের চিরসবুজ সমারোহের মাঝে পলাশের রক্তিমাভার সমন্বয়ে এবারের আসরটি সাজানো হয়েছে। পলাশের অনির্বাণ লালিমা বয়ে আনে বাঙালির প্রতিরোধ-সংগ্রামের স্মৃতি—কখনো মাতৃভাষা, কখনো বা স্বাধিকারের দাবিতে বারবার স্বৈরাচারী শোষণের বিরুদ্ধে রক্ত ঝরানোর দুঃসহ গৌরবের ইতিহাস।’

বছরের সেরা চলচ্চিত্রগুলো একই ছাদের নিচে ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র ১৪৩১’-এ!  এরমধ্যে আছে শঙ্খ দাশগুপ্তের ‘প্রিয় মালতী’, আকরাম খানের ‘নকশী কাঁথার জমিন’, নূরুল আলম আতিকের ‘পেয়ারার সুবাস’।

আরও রয়েছে ইকবাল হোসেনের ‘বলী’, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’, ধ্রুব হাসানের ‘ফাতিমা’, অমিতাভ রেজার ‘রিকশা গার্ল’, মিশুক মনির ‘দেয়ালের দেশ’ এবং রায়হান রাফীর ‘তুফান’।

উৎসবে মনোনীত ছবির নাম ঘোষণা করলেও ছবি প্রদর্শনীর সময়সূচি এখনো প্রকাশ করেনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ন ম হল ট এসস চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক