একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের নামে ফেসবুক আইডি এবং হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলে অবাধে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে রেজোয়ানুল হক নামের এক ব্যক্তি দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলেছেন।

বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.

আকতারুল ইসলাম।

জানা যায়, দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের তৎপরতায় প্রতারক চক্রের অপতৎপরতা ধরা পড়ে। দুদকের নামে প্রতারণা অভিযোগে ওই রেজোয়ানুল হককে আগে একবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন। পরে তিনি জামিনে বের হয়ে যান। রেজোয়ানুলের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে। তার বাবার নাম মো. আল আমিন ও মা নুরজাহান।  

দুদক জানায়, রেজোয়ানুলের নেতৃত্বে প্রতারক চক্রের সদস্যরা দুদকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নাম, পদবি ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক আইডি ও হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলে দুদকের মামলার ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা এবং সাধারণ জনগণের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। ইদানীং তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। রেজোয়ানুল তার সহযোগী ইয়াসমিন আক্তারের নামে রংপুর সদরের নবাবগঞ্জ এলাকার আজহার প্লাজায় ডাচ বাংলা ব্যাংকে একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলেন। ওই হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। যা কমিশনের গোয়েন্দা কার্যক্রমে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এছাড়াও তার অপর সহযোগী জরিনা বেগমের নগদ অ্যাকাউন্টে অবৈধ অর্থ জমা করিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে। 

এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রতারক চক্র সাধারণ মানুষকে হয়রানি করাসহ দুদকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করছে। দুদক কারও বিরুদ্ধে অনুসন্ধান বা তদন্ত শুরু করলে পত্র মারফত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জানানো হয়। টেলিফোনে যোগাযোগ করা হয় না। পত্রটি ভুয়া কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য দুদকের প্রধান কার্যালয় অথবা নিকটস্থ দুদকের বিভাগীয় অথবা জেলা কার্যালয়ে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। 

অন্য কোনো প্রতারণা বা অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেলে বা রেজোয়নুল ও তার সহযোগীদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য কারও কাছে থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে দুদক হট লাইন-১০৬ নম্বরে জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা গ্রহণ করারও আহ্বান জানিয়েছে দুদক। 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নায়িকা হতে আসিনি, তবে...

গুটি, সুড়ঙ্গ, মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন থেকে ওমর—সব সিনেমা-সিরিজেই প্রশংসিত হয়েছে আইমন শিমলার অভিনয়। অল্প সময়ের উপস্থিতিতেও নিজের ছাপ রাখতে পেরেছেন এই তরুণ অভিনেত্রী। ধূসর চরিত্রেও তিনি সাবলীল, অন্য তরুণ অভিনেত্রীদের থেকে এখানেই আলাদা শিমলা। তবে একটা কিন্তু আছে। এখন পর্যন্ত তাঁর অভিনীত আলোচিত চরিত্রগুলোর সবই চাটগাঁইয়া। শিমলা নিজে চট্টগ্রামের মেয়ে, একটা সময় পর্যন্ত বন্দরনগরীর বাইরে চেনাজানা ছিল সীমিত। এক সিরিজে তাঁর চাটগাঁইয়া ভাষা আলোচিত হওয়ায় পরপর আরও কাজে তাঁকে চাটগাঁইয়া চরিত্রের জন্য ভেবেছেন নির্মাতা।

এ প্রসঙ্গ দিয়েই অভিনেত্রীর সঙ্গে আলাপের শুরু করা গেল। শিমলা জানালেন, এ নিয়ে তাঁর নিজেরও অস্বস্তি আছে। চেষ্টা করছেন ‘চাটগাঁইয়া দুনিয়া’র বাইরে যেতে। সঙ্গে এ–ও জানিয়ে রাখলেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর নিজের চরিত্র পছন্দ করে নেওয়ার সুযোগ কমই ছিল।

‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শুটিংয়ের ঠিক আগে জেনেছি চরিত্রটি সম্পর্কে। তখন তো কিছু করার থাকে না। তবে যেসব কাজ করেছি, সবই আলোচিত পরিচালক আর অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে; এ অভিজ্ঞতার মূল্যও কম নয়। শিহাব (শিহাব শাহীন) ভাইয়ের সঙ্গে মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, কাছের মানুষ দূরে থুইয়া, রবিউল আলম রবি ভাইয়ের সঙ্গে ফরগেট মি নট আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। এ ছাড়া (শহীদুজ্জামান) সেলিম ভাইয়ের কথা বিশেষভাবে বলব। সুড়ঙ্গ ও ওমর—দুই সিনেমায় তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন,’ বলছিলেন তিনি।

ঈদে মুক্তি পাওয়া এম রাহিমের সিনেমা জংলিতেও আছেন শিমলা। এ ছবিতে অবশ্য তাঁর চরিত্রটি চাটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলে না। সে জন্য সিনেমাটি নিয়ে তিনি বেশি উচ্ছ্বসিত। ‘মুক্তির পর থেকে সিনেমা তো বটেই, আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে প্রশংসা পাচ্ছি কিন্তু দুঃখের কথা, আমি নিজেই এখনো দেখতে পারিনি। ব্যক্তিগত ঝামেলা, শুটিংয়ে ব্যস্ততার কারণে সম্ভব হয়নি। শিগগিরই আমার টিমের সঙ্গে দেখতে চাই,’ বলছিলেন তিনি।

আইমন শিমলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ