ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসক হলেন মোহাম্মদ এজাজ
Published: 12th, February 2025 GMT
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ।
বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আদেশ জারির তারিখ হতে পরবর্তী এক বছরের জন্য পূর্ণকালীন প্রশাসক হিসেবে তাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ধারা ২৫ক এর উপধারা (১) অনুযায়ী মোহাম্মদ এজাজ নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি এ আইনের ধারা ২৫ক এর উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এর ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করবেন। বিধি মোতাবেক মাসিক সম্মানী ভাতা ও অন্যান্য ভাতাদি প্রাপ্য হবেন।
২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নদী, পরিবেশ ও নগর পরিকল্পনা নিয়ে গবেষণাসহ মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছেন এজাজ। তিনি সমকালকে বলেন, ঢাকার অলিগলির গল্প, ঘটনা ও পরিবর্তন ব্যক্তিগত এবং গবেষণার কারণে অনেক কাছ থেকে দেখেছি। শহর ও নদী নিয়ে কাজ করেছি অনেকদিন। শহর নিয়ে আমার ধারণা কিছুটা ক্রিটিকাল। আমি একটি ন্যায্য নগর কল্পনা করি। জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট হচ্ছে বৈষম্য দূর করার স্পিরিট। এই অল্প সময়ে নাগরিক জীবনের কিছুটা বৈষম্য দূর করার কাজ হবে আমার অগ্রাধিকার। আমি সকলকে নিয়ে এই পরিবর্তনের কাজ করতে চাই।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গাংনীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১১টায় গাংনী বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় বিএনপির উপজেলা কার্যালয়ে হামলা এবং মোটরসাইকেল ও চেয়ারসহ বিভিন্ন জিনিস ভাঙচুর করা হয়।
আরো পড়ুন:
ভাঙ্গায় চার গ্রামের সংঘর্ষে আহত ৬০
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
গতকাল সোমবার মেহেরপুর-২ আসনে আমজাদ হোসেনকে বিএনপি মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জের ধরেই আজ সংঘর্ষ হয়।
মেহেরপুর-২ আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন অভিযোগ করেছেন, মনোনয়নবঞ্চিত মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থক ও গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়ালসহ তার ক্যাডার বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। হামলায় অন্তত বিএনপির ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
 
এ বিষয়ে জানতে জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বনী ইসরাইল জানিয়েছেন, দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর গাংনীতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে কাজ করছে পুলিশ।
আমজাদ হোসেনের সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন, প্রথমে মিল্টনের সমর্থকরা একতরফাভাবে হামলা করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।
অন্যদিকে, মিল্টনের সমর্থক গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু অভিযোগ করেছেন, আমজাদ হোসেনের লোকজন তাদের অফিস ভাঙচুর করেছেন।
ঢাকা/ফারুক/রফিক