বিকট শব্দের পর ফের ভারতে ডুবেছে বাংলাদেশি জাহাজ
Published: 14th, February 2025 GMT
মাত্র একমাসের ব্যবধানে ফের ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীতে ডুবে যায় বাংলাদেশি জাহাজ।
পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার হুগলি নদীর ঘোড়ামারা দ্বীপ সংলগ্ন এলাকায় শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ডুবে যায় একটি ছাইবোঝাই বাংলাদেশি জাহাজ। জাহাজটির নাম এমভি সি ওয়ার্ল্ড, জাহাজটি কিং ওশান শিপিং লাইন্স নামে একটি বাংলাদেশি শিপিং কোম্পানির মালিকানাধীন।
জাহাজটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট থার্মাল পাওয়ার স্টেশন থেকে ছাই বোঝাই করে বাংলাদেশে ফিরছিল। পথেই আচমকা জাহাজের তলায় বিকট শব্দ হয়। এরপরেই জাহাজে পানি ঢুকতে শুরু করে। এরপর ধীরে ধীরে নদীতে তলিয়ে যেতে শুরু করে জাহাজটি। বর্তমানে জাহাজটি নদীতে সম্পূর্ণ ডুবে যায়। তবে উদ্ধার করা হয়েছে জাহাজটির ১৬ ক্রুর (সদস্য) সবাইকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোরে ঘোড়ামারা দ্বীপ সংলগ্ন এলাকায় নদী থেকে আচমকাই ব্যাপক চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। জাহাজের কর্মীদের চিৎকার শুনেতে পেয়ে কাছাকাছি থাকা ভারত জেলেদের নৌকা জাহাজটির কাছে গিয়ে বুঝতে পারে জাহাজটি ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে। দ্রুতই ডুবে থাকা জাহাজটির ১৬ ক্রু'কে উদ্ধার করেন তারা। ফোন করে ঘটনাটি জানানো হয় স্থানীয় গঙ্গাসাগর থানায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্পিড বোট নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় গঙ্গাসাগর থানার পুলিশ বাহিনী।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ জানিয়েছে, ক্রু সদস্যদের প্রত্যেকেই সাগর থানার পুলিশের আশ্রয়ে আছেন। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাদের নেওয়া হয়েছে স্থানীয় রুদ্রনগর গ্রামীণ হাসপাতালে। ১৬ ক্রু সদস্যের প্রত্যেকেই সুস্থ আছেন। গোটা ঘটনার বিষয়ে জাহাজটির মালিক কোম্পানিকে জানিয়েছেন জাহাজটির কর্মীরা। তাদের সিদ্ধান্ত জানার পরেই জাহাজ উদ্ধারের কাজ শুরু হবে। যেহেতু হুগলি নদীর এই অংশটি জাহাজ চলাচলের ব্যস্ত রুট তাই দ্রুতই জাহাজটি উদ্ধারের চেষ্টা করছেন তারা।
এর আগে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার বাঁশবাড়িয়া সংলগ্ন এলাকার গঙ্গায় ডুবে যায় এডি বছিরউদ্দিন কাজি নামে আরেকটি বাংলাদেশি জাহাজ। ত্রিবেণীর ব্যান্ডেল থার্মাল পাওয়ার স্টেশন (বিটিপিএস)-এর থেকে ছাই নিয়ে ফিরছিল বাংলাদেশের ওই কার্গো জাহাজ। এই ঘটনার একমাস না কাটতেই ফের জাহাজডুবির ঘটনা ঘটল।
কলকাতা/সুচরিতা/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চার দিনের জ্বরে ভুগে মারা গেল কিশোর
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের ফকিরহাট এলাকায় আশরাফুর রহমান (১৪) নামের এক কিশোর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। গত শুক্রবার সে জ্বরে আক্রান্ত হয়। আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে পৌর সদরের জেনারেল হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
আশরাফুর রহমান ওই এলাকার মিজানুর রহমানের একমাত্র ছেলে। সে সীতাকুণ্ড আলিয়া মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সীতাকুণ্ডে এই প্রথম একজন মারা গেল।
আশরাফুর রহমানের দাদা এম এ আলীম আলী প্রথম আলোকে বলেন, গত শুক্রবার তাঁর নাতির জ্বর আসে। সামান্য ব্যথাও ছিল। জ্বর কমছে না দেখে রোববার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপর আশরাফুরকে পৌর সদরের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গতকাল সোমবার রাতে তার অবস্থার অবনতি হয়। আজ ভোর পাঁচটার দিকে সে মারা যায়। দুপুরে মডেল মসজিদ এলাকায় জানাজার নামাজ শেষে ফকিরহাট নলুয়া দিঘি এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় আশরাফকে।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি হাসপাতালের দায়িত্বগত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই কিশোর ভালো ছিল। আজ ভোর চারটার দিকে তার পাতলা পায়খানা ও খিঁচুনি হয়। এরপর তারা দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে নেওয়ার পথে কিশোরটি মারা যায়।
সীতাকুণ্ডে আজ এক দিনেই ৬ জনের শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস শনাক্ত হয় বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন।