মাত্র একমাসের ব্যবধানে ফের ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীতে ডুবে যায় বাংলাদেশি জাহাজ।

পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার হুগলি নদীর ঘোড়ামারা দ্বীপ সংলগ্ন এলাকায় শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ডুবে যায় একটি ছাইবোঝাই বাংলাদেশি জাহাজ। জাহাজটির নাম এমভি সি ওয়ার্ল্ড, জাহাজটি কিং ওশান শিপিং লাইন্স নামে একটি বাংলাদেশি শিপিং কোম্পানির মালিকানাধীন।

জাহাজটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট থার্মাল পাওয়ার স্টেশন থেকে ছাই বোঝাই করে বাংলাদেশে ফিরছিল। পথেই আচমকা জাহাজের তলায় বিকট শব্দ হয়। এরপরেই জাহাজে পানি ঢুকতে শুরু করে। এরপর ধীরে ধীরে নদীতে তলিয়ে যেতে শুরু করে জাহাজটি। বর্তমানে জাহাজটি নদীতে সম্পূর্ণ ডুবে যায়। তবে উদ্ধার করা হয়েছে জাহাজটির ১৬ ক্রুর (সদস্য) সবাইকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোরে ঘোড়ামারা দ্বীপ সংলগ্ন এলাকায় নদী থেকে আচমকাই ব্যাপক চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। জাহাজের কর্মীদের চিৎকার শুনেতে পেয়ে কাছাকাছি থাকা ভারত জেলেদের নৌকা জাহাজটির কাছে গিয়ে বুঝতে পারে জাহাজটি ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে। দ্রুতই ডুবে থাকা জাহাজটির ১৬ ক্রু'কে উদ্ধার করেন তারা। ফোন করে ঘটনাটি জানানো হয় স্থানীয় গঙ্গাসাগর থানায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্পিড বোট নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় গঙ্গাসাগর থানার পুলিশ বাহিনী।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ জানিয়েছে, ক্রু সদস্যদের প্রত্যেকেই সাগর থানার পুলিশের আশ্রয়ে আছেন। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাদের নেওয়া হয়েছে স্থানীয় রুদ্রনগর গ্রামীণ হাসপাতালে। ১৬ ক্রু সদস্যের প্রত্যেকেই সুস্থ আছেন। গোটা ঘটনার বিষয়ে জাহাজটির মালিক কোম্পানিকে জানিয়েছেন জাহাজটির কর্মীরা। তাদের সিদ্ধান্ত জানার পরেই জাহাজ উদ্ধারের কাজ শুরু হবে। যেহেতু হুগলি নদীর এই অংশটি জাহাজ চলাচলের ব্যস্ত রুট তাই দ্রুতই জাহাজটি উদ্ধারের চেষ্টা করছেন তারা।

এর আগে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার বাঁশবাড়িয়া সংলগ্ন এলাকার গঙ্গায় ডুবে যায় এডি বছিরউদ্দিন কাজি নামে আরেকটি বাংলাদেশি জাহাজ। ত্রিবেণীর ব্যান্ডেল থার্মাল পাওয়ার স্টেশন (বিটিপিএস)-এর থেকে ছাই নিয়ে ফিরছিল বাংলাদেশের ওই কার্গো জাহাজ। এই ঘটনার একমাস না কাটতেই ফের জাহাজডুবির ঘটনা ঘটল।

কলকাতা/সুচরিতা/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক

চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও হামিদচর এলাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে লাশটি উদ্ধার হয়। পুলিশ বলছে, পরিকল্পিতভাবে মারধরের পর ওই স্কুলছাত্রকে নদীতে ফেলে দেয় তার কয়েকজন সহপাঠী। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।

নিহত স্কুলছাত্রের নাম রাহাত ইসলাম (১২)। সে নগরের চান্দগাঁও সানোয়ারা বয়েজ স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে চান্দগাঁও থানার পূর্ব ফরিদেরপাড়া এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে। সকালে হামিদচর এলাকায় নদীতে রাহাতের লাশ দেখতে পেয়ে বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। এরপর তার লাশ উদ্ধার হয়।

নিহত রাহাতের বাবা লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছেলে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে বের হয়। এরপর তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক স্থানে সন্ধানের পরও খোঁজ না পেয়ে বিষয়টি রাতেই পুলিশকে জানানো হয়েছিল। সকালে ছেলের লাশ পাওয়া যায়। তিনি অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবে বন্ধুরা রাহাতকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) জাহাঙ্গীর আলম আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় নিহত স্কুলছাত্রের চার সহপাঠীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • ঢাকায় চালান পৌঁছে প্রতি মাসে পান ৬ লাখ টাকা
  • ১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
  • ভারতে মন্দিরের দেয়াল চাপা পড়ে ৮ জনের মৃত্যু
  • নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক
  • কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে