রূপগঞ্জে আশ্রয়ন প্রকল্পে ২০ ঘরে ভাংচুর, দরজা-জানালাসহ মালামাল লুট
Published: 14th, February 2025 GMT
রূপগঞ্জে আশ্রয়ন প্রকল্পের ২০টি ঘরে ভাংচুর করে দরজা-জানালা, ঘরের ভেতরে থাকা টিভি, ফ্রিজসহ বিভিন্ন মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভোররাত থেকে সকাল অব্দি চলে এ লুটপাটের ঘটনা। পরে ২০ টি গৃহহীন অসহায় পরিবার প্রাণ নিয়ে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ তারিকুল আলম, রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি লিয়াকত আলী, রূপগঞ্জ সেনাবাহিনীর ক্যাম্প ক্যাপ্টেন জিসান আহম্মেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসী মিলে মুড়াপাড়া দড়িকান্দি এলাকার আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রতিটি ঘরে হামলা করে। পরে বাঁধা দিলে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে ঘরের দরজা-জানালা, ঘরের ভেতরের টিভি, ফ্রিজ, ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
একাধিক ব্যক্তি প্রশ্ন তোলে বলেন, প্রশাসনিক কার্যালয় এবং থানা কার্যালয় থেকে ঘটনাস্থলের দুরত্ব সর্বোচ্চ ৫ মিনিটের পথ। ঘটনা শুরু হয় ভোররাতে আর পুলিশ-প্রশাসন আসে ১০/১২ ঘন্টা পর। তাৎক্ষণিক প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ঘটনাস্থলে আসলে এমন ঘটনা ঘটতো না।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল আলম বলেন, খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে এসেছি। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলেছি। ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য কোন কুচক্রী মহল এমন কাজ করেছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।
ঘটনাস্থলে আসতে ১০/১১ ঘন্টা সময় লাগার কারন জানতে চাইলে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি লিয়াকত আলী বলেন, আমরা খবর পেয়েছি পরে। তবে খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।
নারায়নগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে হামলার ঘটনার খবর জেনেছি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ খবর প
এছাড়াও পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু, গ্রেপ্তার ২
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চর-আবাবিল ইউনিয়নের উদমারা এলাকায় মারধরে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম জাহাঙ্গীর আলম (৫২)। আড়াই মাস ধরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল শনিবার তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দুজনকে গতকাল রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয় একটি মসজিদের কমিটিতে সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। গত ৭ এপ্রিল তাঁর ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা এবং তাঁকে মারধর করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, মসজিদের পাশে জুয়ার আসর বসানো ও মাদক সেবনে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় একটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন হলেন সাব্বির হোসেন (২১) ও রহিম উদ্দিন (৩০)। তাঁরা দুজনই উদমারা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁদের দুজনকে আজ রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
জাহাঙ্গীর আলমের ওপর হামলার ঘটনায় ৭ এপ্রিল লক্ষ্মীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলার আবেদন করেন তাঁর স্ত্রী রাজিয়া বেগম। আদালত রায়পুর থানাকে মামলাটি গ্রহণের আদেশ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মসজিদের আশপাশে জুয়ার আসর ও মাদক সেবন করতেন কিশোর গ্যাংয়ের কিছু সদস্য। এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি হিসেবে প্রতিবাদ করেন জাহাঙ্গীর আলম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাহাঙ্গীর আলমের ওপর হামলা চালানো হয়।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, আড়াই মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর ওপর হামলার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।