ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার কবি সোহেল হাসান গালিব কারাগারে
Published: 15th, February 2025 GMT
ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার কবি সোহেল হাসান গালিবকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ শুক্রবার বিকেলে এই আদেশ দেন।
এর আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের লালবাগ বিভাগ কবি সোহেল হাসান গালিবকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির আদালতকে লিখিতভাবে জানান, আসামি সোহেল হাসান গালিব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মহানবীকে (সা.
অপর দিকে আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত কবি সোহেল হাসান গালিবকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করেন। একই সঙ্গে তাঁর জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এ আদালত আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে গতকাল নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে সোহেল হাসান গালিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মডেল মেঘনা আলমের জামিন
রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় করা চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার মডেল মেঘনা আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) মো. সানাউল্লাহ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওমর ফারুক ফারুকী প্রথম আলোক বলেন, চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে ১৫ এপ্রিল মামলাটি হয়। মেঘনা আলম ও তাঁর পূর্বপরিচিত ব্যবসায়ী মো. দেওয়ান সমিরকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আজ সোমবার মেঘনা আলমের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১৭ এপ্রিল এই মামলায় মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এই মামলায় মেঘনা আলম ও তাঁর পরিচিত ব্যবসায়ী দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে এক কূটনীতিকের কাছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার অর্থ দাবির অভিযোগ আনা হয়।
আরও পড়ুনশুধু সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল, আদালতে মডেল মেঘনা১৭ এপ্রিল ২০২৫৯ এপ্রিল রাতে মেঘনা আলমকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী, পরদিন ১০ এপ্রিল রাতে আদালত মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন। তিনি এখন কারাগারে। সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে মেঘনা আলমের আটকের ঘটনা নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।
এদিকে মেঘনা আলমকে আটকের প্রক্রিয়া ও আটকাদেশের বৈধতা নিয়ে তাঁর বাবা বদরুল আলম সম্প্রতি হাইকোর্টে একটি রিট করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন।
আরও পড়ুনকূটনীতিকের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার অর্থ দাবির অভিযোগ মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে১৭ এপ্রিল ২০২৫রুলে পরোয়ানা ছাড়া বাসা থেকে মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার, কারণ না জানিয়ে গ্রেপ্তার, ডিবি কার্যালয়ে ২৪ ঘণ্টার বেশি হেফাজতে রাখা ও আইনজীবীর সুযোগ না দেওয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি বিশেষ ক্ষমতা আইনে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে দেওয়া আটকাদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা-ও জানতে চান আদালত।
আরও পড়ুনএবার চাঁদাবাজি–প্রতারণার মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো১৭ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনমেঘনা আলম যে প্রক্রিয়ায় আটক, তা সঠিক হয়নি: আসিফ নজরুল১৩ এপ্রিল ২০২৫