তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন দাবিতে সোচ্চার থাকার আহ্বান
Published: 15th, February 2025 GMT
দেশে অভ্যুন্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে আবারো সোচ্চার হয়েছে উত্তরবঙ্গের জনগণ। তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু বলেছেন, ‘‘নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে পতিত আওয়ামী সরকার। গত ১৬ বছর ধরে তারা শুধু আশ্বাস দিয়ে গেছে, কিন্তু তিস্তাপাড়ের মানুষ বাস্তবে কিছুই দেখেনি।’’   
তিনি বলেন, ‘‘পানি চুক্তির পরিবর্তে স্বৈরাচার হাসিনা ভারতের কাছ থেকে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার আশীর্বাদ নিয়েছেন। তবে এবার অধিকার আদায়ে স্বোচ্চার থাকবে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন’।’’
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রংপুর দুপুরে নগরীর নর্থভিউ হোটেলের কনফারেন্স হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
তিস্তা ইস্যুতে বিএনপির দুই দিনের নতুন কর্মসূচি
৮৫০ টন সার নিয়ে ভৈরবে ডুবলো জাহাজ
এ সময় আসাদুল হাবিব দুলু অভিযোগ করে বলেন, "মেগা প্রকল্পের নামে আওয়ামী লীগ শুধু স্বপ্ন দেখিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে। উত্তরের দুই কোটি মানুষের জন্য তিস্তা নদী অথচ পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে পতিত আওয়ামী সরকার। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী মুক্ত বাংলাদেশে এবার উত্তরের মানুষ ন্যায্য অধিকার আদায়ে নদীপাড়ে আন্দোলনে থাকবে।’’
সম্প্রতি রংপুরে তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে আয়োজিত গণশুনানিতে সরকারের দুই উপদেষ্টার বক্তব্যের আপত্তি করেন দুলু। তিনি দাবি করেন, স্থায়ীভাবে সমন্বিত পরিকল্পনায় তিস্তার সমাধান করতে হবে।
তিস্তা নদীর অস্তিত্ব রক্ষার এই আন্দোলন আরো বেগবান করতে আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি নদীপাড়ে লাগাতার জনতার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এই সমাবেশে উত্তরবঙ্গের মানুষকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এটি শুধু তিস্তা পাড়ের মানুষের নয়, গোটা উত্তরবঙ্গের অধিকার আদায়ের লড়াই।”
তিনি জানান, দুই দিনব্যাপী ওই সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আন্দোলনকে সফল করবেন। নদীপাড়ের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ যুগপৎ আন্দোলনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের রংপুরের সমন্বয়ক ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকু, তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের অন্যান্য নেতারা।
ঢাকা/আমিরুল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নদ ব এনপ র সমন ব সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
গাংনীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১১টায় গাংনী বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় বিএনপির উপজেলা কার্যালয়ে হামলা এবং মোটরসাইকেল ও চেয়ারসহ বিভিন্ন জিনিস ভাঙচুর করা হয়।
আরো পড়ুন:
ভাঙ্গায় চার গ্রামের সংঘর্ষে আহত ৬০
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
গতকাল সোমবার মেহেরপুর-২ আসনে আমজাদ হোসেনকে বিএনপি মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জের ধরেই আজ সংঘর্ষ হয়।
মেহেরপুর-২ আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন অভিযোগ করেছেন, মনোনয়নবঞ্চিত মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থক ও গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়ালসহ তার ক্যাডার বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। হামলায় অন্তত বিএনপির ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
 
এ বিষয়ে জানতে জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বনী ইসরাইল জানিয়েছেন, দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর গাংনীতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে কাজ করছে পুলিশ।
আমজাদ হোসেনের সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন, প্রথমে মিল্টনের সমর্থকরা একতরফাভাবে হামলা করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।
অন্যদিকে, মিল্টনের সমর্থক গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু অভিযোগ করেছেন, আমজাদ হোসেনের লোকজন তাদের অফিস ভাঙচুর করেছেন।
ঢাকা/ফারুক/রফিক