চট্টগ্রামের রাউজানে সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে এক ছাত্রদল নেতা আহত হয়েছেন। তাঁর নাম পেয়ার মোহাম্মদ চৌধুরী (৩৫)। তিনি রাউজান সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খানখানাবাদ গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাউজানের পূর্ব গুজরা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বিএনপির দুটি পক্ষের অভ্যন্তরীণ কোন্দল থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।

আহত পেয়ার মোহাম্মদ চৌধুরী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক। জেলা ছাত্রদলের সদস্যপদেও ছিলেন তিনি। বর্তমানে পেয়ার মোহাম্মদ ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সরকারি অর্থায়নে উপজেলার উত্তর গুজরা গ্রামের আদ্যপীঠ রামকৃষ্ণ সংঘ মন্দিরের পুকুরঘাট নির্মাণের কাজ চলছে। এ কাজের উপঠিকাদার হিসেবে কাজ করছেন পেয়ার মোহাম্মদ চৌধুরী। আজ সকালে ঘাটের নির্মাণকাজ পরিদর্শনে যান তিনি। এ সময় সেখানে ৩টি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ১৫ থেকে ২০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী উপস্থিত হয়ে পেয়ার মোহাম্মদ চৌধুরীকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করে। এতে পেয়ার মোহাম্মদের কোমরে, পেটে, দুই পায়ে এবং ঊরুতে গুলি লাগে। আহত অবস্থায় তাঁকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থা শঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ পেয়ার মোহাম্মদের মা মোরশেদা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ছেলে নিরীহ। সন্ত্রাসীরা তাঁকে কোনো কারণ ছাড়াই গুলি করেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে পেয়ার মোহাম্মদকে গুলি করা হয়েছে। এলাকায় কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারীদের মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব আছে। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

সচিবালয়ে আবারও বিক্ষোভ কর্মচারীদের

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার একদিন পর আজ সোমবার আবারও সচিবালয়ের ভেতর বিক্ষোভ করছেন সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আন্দোলনকারী কর্মচারীরা। বিক্ষোভ শেষে আজ সরকারের আরও তিন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, কর্মচারীরা মিছিল করে সচিবালয়ের বাদামতলায় জমায়েত হন। সেখানে তারা অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিজে জড়ো হয়ে অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবি জানান। তাঁদের স্লোগান ছিল ' অবৈধ কালো আইন মানি না' ইত্যাদি।

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে বেশ কিছু দিন ধরে ধরে আন্দোলন করছেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। আন্দোলন চলার মধ্যেই অধ্যাদেশটি জারি করে সরকার। এর পর থেকে বিক্ষোভ, কর্মবিরতি ও স্মারকলিপি দেওয়ার মতো কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা।

ঈদের ছুটি শুরু আগে কর্মচারীরা অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ,আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, খাদ্য, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন।

তারই ধারাবাহিকতায় আজ স্বরাষ্ট্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ