এ পর্যন্ত কতজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
Published: 15th, February 2025 GMT
ইসরায়েলের ভূখন্ডে ঢুকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর নজিরবিহীন হামলা করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকমী সংগঠন হামাস। সেদিনের ওই হামালায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হন। হামাস ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে আসে। সেদিন থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। দীর্ঘ ১৫ মাসের অবিরাম যুদ্ধ গাজার ৪৭ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়।
এরপর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ছয় সপ্তাহের প্রথম ধাপে হামাস ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। বিনিময়ে ইসরায়েলও তাদের জেলে আটক কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে।
রেড ক্রসের তথ্যমতে, হামাসের ১৯ জন জিম্মির বিনিময়ে ১ হাজার ১৩৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।
বিবিসির এক প্রতিবেদন বলছে, হামাস এ পর্যন্ত ১৯ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। এখনও হস্তান্তর করা হয়নি ১৪ জনকে। ইসরায়েলের দাবি, ১৪ জনের মধ্যে আটজন মারা গেছেন। অর্থাৎ, প্রথম দফায় ছয়জন ইসরায়েলিকে ফিরিয়ে দেবে হামাস।
হামাস এক পৃথক চুক্তির আওতায় প্রথম দফায় পাঁচ থাই নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীকে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা ছাড়তে হবে, আর বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা পাবে বাড়ি ফেরার অনুমতি। এই সময়ে প্রতিদিন শত শত ত্রাণবাহী লরিকে গাজায় ঢোকারও সুযোগ দেবে তেল আবিব।
চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু হবে প্রথম ধাপের ১৬তম দিনে। এই ধাপেই মুক্তি পাবে পুরুষ ইসরায়েলি সেনারা। তৃতীয় ও শেষ ধাপে হবে গাজার পুনর্গঠন, যা শেষ হতে লাগবে কয়েক বছর।
হামাসের কাছে এখন পর্যন্ত ৭০ জন জিম্মি রয়েছেন, যাদের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে, ইসরায়েল প্রায় ১ হাজার ৯০০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মক্তি দেবে। রেডক্রসের তথ্যমতে, এর আগে ৭৬৬ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল।
আজ শনিবার তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ৩৬৯ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল বন দ ক প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’