নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কয়েক ঘণ্টা ধরে একটি আশ্রয়ণকেন্দ্রে তাণ্ডব চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ২০টি ঘর ভাঙচুর করে দরজা-জানালাসহ সব জিনিসপত্র লুটে নিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার রাত ৩টা থেকে শুক্রবার দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের দড়িকান্দি এলাকায় অবস্থিত আশ্রয়ণ প্রকল্পে চলে এ তাণ্ডব। 
এলাকাবাসী জানায়, দড়িকান্দি এলাকায় কয়েক বছর আগে সরকার আশ্রয়ণকেন্দ্রের ২০টি ঘর নির্মাণ করে। একই প্রকল্পের আওতায় আরও কয়েকটি ঘর নির্মাণ করা হয় উপজেলার কাঞ্চন, বিরাবসহ বিভিন্ন স্থানে। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দড়িকান্দির আশ্রয়ণকেন্দ্রে হামলা করে। তারা সেখানে থাকা ২০টি ঘরের বাসিন্দাদের বের করে দেয়। পরে সব ঘরে ভাঙচুর শুরু করে। 
হামলাকারীরা শুক্রবার দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে ঘরগুলোতে লুটপাট চালায়। তারা ভেতর থেকে আসবাবসহ দরজা-জানালাও খুলে নিয়ে যায়। 
সংবাদ পেয়ে এদিন বিকেল ৩টার দিকে রূপগঞ্জের উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল আলম, রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলীসহ যৌথ বাহিনীর সদস্যরা দড়িকান্দি আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শনে যান। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারিকুল আলম বলেন, দুর্বৃত্তরা দড়িকান্দির সরকারি আশ্রয়ণকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। তারা ২০ ঘর ভাঙচুর করে দরজা-জানালাসহ সব মালপত্র লুটে নেয়। কেন্দ্রের বাসিন্দা পরিবারগুলোকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়েও দেয় তারা। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা জানতে পুলিশ তদন্ত করছে। যাদের বিরুদ্ধে এতে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এ ঘটনার পর ২০টি পরিবার আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। তাদের সব সদস্য চরম আতঙ্কিত। তবে আবারও হামলার আশঙ্কায় কেউ মুখ খুলছেন না। ইতোমধ্যে বেশির ভাগ ব্যক্তিই ঘর ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী শনিবার রাতে এ বিষয়ে সমকালকে বলেন, দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করে শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে। তারা যে দলেরই হোক না কেন, কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের বেতন বাড়াল বিসিবি

জাতীয় দলের নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আজ মিরপুরে বিসিবি পরিচালকদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এত দিন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা মেয়েরা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মাসিক বেতন পেতেন। তাঁদের বেতন ৪০ হাজার টাকা বাড়ানো হচ্ছে। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটাররা পেতেন ১ লাখ টাকা করে বেতন। তাঁরা এখন থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বেতন পাবেন।

‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন ৭০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৫ হাজার টাকা করা হয়েছে আর ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ৬০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ হাজার টাকা।
এ ছাড়া জাতীয় দলের অধিনায়কদের জন্য ৩০ হাজার ও সহ-অধিনায়কদের জন্য ২০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া নারী ক্রিকেটারদের নতুন চুক্তিতে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছেন তিন ক্রিকেটার—নিগার সুলতানা, নাহিদা আক্তার ও শারমিন আক্তার। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে আছেন ফারাজনা হক, রিতু মনি, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, রাবেয়া খান ও সোবহানা মোস্তারি। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আছেন স্বর্ণা আক্তার।

আরও পড়ুনবিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ না জিতলেও ৩ কোটি টাকা পাবেন নিগাররা৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‘ডি’ ক্যাটাগরিতে আছেন সুমাইয়া আক্তারর, ফারিহা ইসলাম, রুবাইয়া হায়দার, সানজিদা আক্তার, নিশিতা আক্তার। এই চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের কেউ জাতীয় দলে এলে মাসে ৬০ হাজার টাকা বেতন পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ