গাইবান্ধায় পাবলিক লাইব্রেরিতে যৌথ বাহিনীর অভিযান, গাঁজা-জুয়ার সরঞ্জামসহ আটক ৮
Published: 16th, February 2025 GMT
গাইবান্ধা শহরে অবস্থিত পাবলিক লাইব্রেরি অ্যান্ড ক্লাবে অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। এ সময় টাকা, গাঁজা ও জুয়ার সরঞ্জামসহ ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার রাত নয়টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযান চালানো হয়।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর ইসলাম তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যৌথ বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের পৌর পার্কে অবস্থিত পাবলিক লাইব্রেরিতে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। এতে সেনাবাহিনী ও সদর থানা-পুলিশ অংশ নেয়। অভিযানে পাবলিক লাইব্রেরির একটি গোপন কক্ষ থেকে গাঁজা ও জুয়ার সরঞ্জাম, নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন জব্দসহ ৮ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আটকরা হলেন- কাজী ওয়াদুদ, চিনু, মাহমুদ, ডিপ্টি মিয়া, সাবেক কাউন্সিলর নিয়াজ রহমান লোটন, আবু হোসেন। এছাড়া গাইবান্ধা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক কাজী জিয়াউল হাফিজ ও ইকবাল কবির অপুকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গাইবান্ধা সদর থানার ওসি বলেন, ৮ জনকে আটক করা হলেও দু’জনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আটক
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক