কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা সীমান্তে বিশেষ অভিযানে ৬৯টি বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জামাদিসহ ২ জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

আটকরা হলেন, চাঁদপুর মতলব উত্তর থানা এলাকার নবুরকান্দি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মো. সম্রাট প্রধান (৩৩) ও নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানা এলাকার দক্ষিণ গারমোরা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে মো.

অন্তর (৩২)।

রোববার দুপুরে এক ক্ষুদে বার্তায় টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ন বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান বোমা ও সরঞ্জামাদিসহ ২ জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিজিবি অধিনায়ক জানান, রোববার ভোররাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন-২ (বিজিবি) গোপন সংবাদে জানতে পারে- টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ফুলের ডেইল নামক এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে কিছু দুষ্কৃতকারী দেশীয় বোমা তৈরির সরঞ্জামাদিসহ অবস্থান করছে। এই সংবাদে আমার নেতৃত্বে বিজিবির একটি আভিযানিক দল ওই এলাকার কয়েকটি জরাজীর্ণ টিনশেড বাড়ি ঘিরে কঠোর নিরাপত্তায় অভিযান পরিচালনা করে। এতে প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে একটি জরাজীর্ণ ঘরের ভেতর থেকে তৈরি করা ৬৯টি হাতবোমা, ১.৬ কেজি সালফার, ১.৩ কেজি লালা, ৩১টি জর্দার কৌটা, ২২০ গ্রাম গুনাতার এবং ১টি প্লাসসহ দুইজন দুষ্কৃতকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় অবস্থানরত অপর দুই ব্যক্তি দ্রুত পালিয়ে যায়।

আটকরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ চক্র চুক্তিভিত্তিক বোমা তৈরি করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি ও সরবরাহ করেছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে- স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার, সন্ত্রাসী ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমুলক কাজে ব্যবহারের জন্য এসব বোমা তৈরি করা হচ্ছিল।

বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, ‘আটকদের ও জব্দ বোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জামাদিসহ নিয়মিত মামলা করে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া পলাতকদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং ওই বাড়ির মালিকের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট কন ফ এল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

‘অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন’, জামায়াত আমিরের দুঃখ প্রকাশ

নারী বিষয়ক কমিশনের রি‌পোর্ট‌কে শরীয়তবিরোধী ও অগ্রহণযোগ্য রিপোর্ট উল্লেখ ক‌রে এর ওপর বুধবার প্রদত্ত বক্তব্যের এক পর্যায়ে একটি শব্দের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন বাংলা‌দেশ জামায়া‌তে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বৃহস্প‌তিবার (১ মে) নি‌জের ও দ‌লের ফেসবুক পে‌জে এ কথা ব‌লেন তিনি।

এতে তি‌নি জানান, অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে, যা একান্তই অনিচ্ছাকৃত। এজন‌্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন তি‌নি।

আরো পড়ুন:

প্রতিহিংসার রাজনীতিতে শান্তি আসতে পারে না: জামায়াত আমির

দেশকে যে ভালোবাসে, সে দেশ ছেড়ে পালায় না: শফিকুর রহমান

জামায়াত আমির ব‌লেন, “রেইপ হচ্ছে বিবাহবহির্ভূত এক ধরনের জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক, যা সাধারণত বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে ঘটে, যেখানে অপরাধী ব্যক্তিটি অসৎ ও দোষী, কিন্তু ভিকটিম সম্পূর্ণ নিরপরাধ।”

“আমি এটাও মনে করি যে, বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ‘রেইপ' এর মতো জঘন্য শব্দকে প্রবেশ করানো পবিত্র এই সম্পর্কের জন্য অবমাননাকর এবং দীর্ঘ মেয়াদে দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। স্বামী স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার ক্ষেত্রে কারো দ্বারা সীমালঙ্ঘন বা জুলুম সংঘটিত হলে তা স্বাভাবিক বিচারের আওতায় অবশ্যই আনতে হবে। কিন্তু বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যকার কোনো অনাকাঙ্খিত বিষয়কে রেইপ বা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের সাথে তুলনা করা অবাঞ্ছণীয় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যাজনক।”

“আমার এই অনিচ্ছাকৃত শব্দ চয়নের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায় এবং জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান সর্বদা সেই মূলনীতির ওপরই প্রতিষ্ঠিত,” ব‌লেও দা‌বি ক‌রেন তি‌নি।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ