Risingbd:
2025-08-02@07:15:21 GMT

টেকনাফে ৬৯টি বোমাসহ আটক ২

Published: 16th, February 2025 GMT

টেকনাফে ৬৯টি বোমাসহ আটক ২

কক্সবাজারের টেকনাফে অভিযান চালিয়ে ৬৯টি হাতবোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ দুই জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

 রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে হ্নীলা সীমান্তবর্তী একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বোমাগুলো উদ্ধার করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন- চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার নবুরকান্দি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মো.

সম্রাট প্রধান (৩৩) ও নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার দক্ষিণ গারমোরা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে মো. অন্তর (৩২)।

টেকনাফ বিজিবি ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি দল জরাজীর্ণ একটি বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানের সময় বাড়িটি ঘিরে ফেলা হয়। প্রায় তিন ঘণ্টার অভিযানে ঘরের ভেতর থেকে ৬৯টি হাতবোমা, ১.৬ কেজি সালফার, ১.৩ কেজি লালা, ৩১টি জর্দার কৌটা, ২২০ গ্রাম গুনা তার ও একটি প্লাসসহ দুই জনকে আটক করা হয়। এসময় বাড়ির আঙিনায় থাকা আরও দুই জন পালিয়ে যায়।

বিজিবি অধিনায়ক আরও জানান, আটক ব্যক্তিরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে চুক্তিভিত্তিকভাবে বোমা তৈরি করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি ও সরবরাহ করে আসছিল। এসব বোমা সন্ত্রাসী ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হচ্ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে উদ্ধারকৃত বোমা ও সরঞ্জামসহ তাদের টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা/তারেকুর/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ