নাটোরে বন্ধুকে হত্যার দায়ে কিশোরের ১০ বছরের আটকাদেশ
Published: 17th, February 2025 GMT
নাটোরে মাদক সেবনের তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার কথা বলায় রবিউল ইসলাম (১৫) নামের এক কিশোরকে হত্যার দায়ে আরেক কিশোরকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার বিকেলে শিশু আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন।
রবিউল ইসলাম গুরুদাসপুর উপজেলার রশিদপুর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে। ঘটনার সময় সাজা পাওয়া কিশোরের বয়স ছিল ১৬ বছর। বর্তমানে তাঁর বয়স ২৬ বছর।
শিশু আদালত সূত্রে জানা যায়, রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালতের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
শিশু আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল কাদের জানান, রবিউলকে হত্যার দায়ে পাঁচজনকে আসামি করে গুরুদাসপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন তার বাবা আজিজুল হক। অন্য চার আসামি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় নিয়মিত আদালতে তাঁদের বিচার হচ্ছে। শিশু আদালতে হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর কারাদণ্ড। তাই আদালত দায়ী কিশোরকে ১০ বছর কারাদণ্ডই দিয়েছেন।
মামলার বিবরণ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কিশোর রবিউল গ্রামের কিছু বখাটে ছেলের সঙ্গে মেলামেশা করত। সে নিজে মাদক সেবন না করলেও অন্যরা গোপনে মাদক সেবন করত। ২০১৫ সালের ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় তারা গ্রামের পাশের একটি বিলে যায়। সেখানে অন্যরা মাদক সেবন করছিল। গ্রামে ফিরে এ তথ্য ফাঁস করার কথা বললে তারা রবিউলকে হত্যা করে বিলের কাদাপানিতে পুঁতে রাখে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত ব্যক্তিরা গ্রাম থেকে পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে তারা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর দোষ স্বীকার করে। তাদের দেখানো স্থান থেকে রবিউলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। পরে অভিযুক্ত কিশোরের বিচারের জন্য মামলাটির কিছু অংশ শিশু আদালতে পাঠানো হয়। সাক্ষ্য–প্রমাণ শেষে গতকাল বিচারক রায় ঘোষণা করেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ১০ বছর
এছাড়াও পড়ুন:
বার্সার বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে খেলা হবে না মার্টিনেজের
বার্সেলোনার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ৩-৩ গোলের সমতা করেছে ইন্টার মিলান। বার্সার মাঠ থেকে সমতা করে যাওয়ায় কিছুটা হলেও এগিয়ে আছে ইতালির জায়ান্টরা। তবে অলিখিত ওই ফাইনালে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লাওতারো মার্টিনেজকে না পাওয়ার শঙ্কায় আছে দ্য হিরোনসরা।
বার্সার বিপক্ষে প্রথম লেগের ম্যাচে ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় লাওতারো মার্টিনেজের। প্রথমার্ধ চলাকালে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে তাকে বদলি করে মেহদি তারিমিকে মাঠে নামান ইন্টার মিলান কোচ সিমোন ইনজাঘি।
আগামী ৬ মে রাতে দ্বিতীয়ার্ধের ম্যাচ খেলতে নামবে ইন্টার ও বার্সা। ওই ম্যাচে মার্টিনেজের খেলা হবে না। বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত না করলেও এক প্রকার জানিয়ে দিয়েছেন ইন্টার কোচ, ‘লাওতারো পায়ে অস্বস্তি বোধ করছিল। আমরা কাল তার আরও কিছু পরীক্ষা করানোর পর পরিস্থিতি বুঝতে পারবো। তবে দ্বিতীয় লেগে আমাদের জন্য অলিখিত ফাইনালে সে খুবই অনিশ্চিত।’
সাবেক ইতালি স্ট্রাইকার ইনজাঘি দ্বিতীয় লেগে বার্সার বিপক্ষে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। সান সিরোর ৭৫ হাজার দর্শকের সমর্থন বড় পার্থক্য গড়ে দেবে বলে মনে করেন তিনি, ‘আশা করছি, আমরা দ্বিতীয় লেগে বেঞ্জামিন পাভার্ডকে (রাইট ব্যাক) পাবো। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত লাওতারোর ক্ষেত্রে একই আশা করছি পারছি না। দ্বিতীয় লেগ আমাদের জন্য ফাইনালের সমান এবং আমি ঘরের মাঠের ৭৫ হাজার দর্শককে গোনায় ধরছি। আমাদের ভক্তরা এই অর্জনে আমাদের সাহায্য করবে।’
চলতি মৌসুমে ইন্টার মিলানের সামনে ট্রেবল জয়ের সুযোগ ছিল। তবে কোপা ইতালিয়ায় এসি মিলানের বিপক্ষে হেরে ট্রেবলের সুযোগ শেষ হয়েছে তাদের। টিকে আছে ডাবল জয়ের সুযোগ। তবে পথে অপেক্ষা করছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। বার্সার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে জিততে হবে। ওদিকে ইতালির সিরি আ’তে সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্টে এগিয়ে ইন্টারের শীর্ষস্থান কেড়ে নিয়েছে নাপোলি।