বানজারা সম্প্রদায়ের কন্যা মোনালিসা। পড়ালেখা শেখেননি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতেন ফুুলের মালা। কিন্তু একটা কুম্ভমেলা জীবন বদলে দিল মোনালিসার। ভারতের উত্তরপ্রদেশের কুম্ভমেলায় ফুলের মালা বিক্রি করা এই তরুণী পরিচিতি লাভ করেন ‘মহাকুম্ভ ভাইরাল গার্ল’ হিসেবে। কোন এক নেটিজেনের ক্যামেরায় নজর কাড়ে মোনালিসার মোহময় বাদামি চোখ। এরপর থেকে গ্ল্যামার দুনিয়া হাতছানি দিয়ে ডাকছে তাকে। সম্প্রতি চলচ্চিত্র পরিচালক সানোজ মিশ্র তাকে ‘দ্য ডায়রি অব মণিপুর’ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। এখন তার জীবনের সংগ্রাম ও সাফল্য নতুন করে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। 

এমনকি বানজারা বা বেদে সম্প্রদায়ের মেয়েটি ভাবতেও পারেনি তার জীবনের গল্প একদিন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে এবং এই যাত্রা শুধু তার নিজের নয়, বরং আধুনিক যুগে উপেক্ষিত ও নিপীড়িতদের জন্য এক শক্তিশালী দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।

 

মোনালিসার জন্ম হয়েছিল ভারতের অন্যতম প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বানজারা সম্প্রদায়ের এক পরিত্যক্ত প্রান্তিক গ্রামে। তার পরিবার ছিল বেদে সম্প্রদায়ের, যাদের ইতিহাস অনেকটাই অন্ধকার। সমাজের মূলধারা তাদের সবসময় অস্বীকার করেছে। তারা ইতিহাসের পাতায় কখনো স্বীকৃতি পায়নি, বরং উপেক্ষিত ও নিপীড়িত থেকেছে। তাদের জীবন দীর্ঘদিন ধরে দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং সামাজিক বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছে।

এই সম্প্রদায় একসময় ব্যবসা ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত ছিল, কিন্তু ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে ১৮৭১ সালের ক্রিমিনাল ট্রাইবস অ্যাক্ট-এর আওতায় তাদের "অপরাধী জনগোষ্ঠী" হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সেই সময় থেকে সমাজের মূলধারা তাদের দূরে ঠেলে দেয়, এবং দারিদ্র্যই তাদের জীবনের একমাত্র বাস্তবতা হয়ে দাঁড়ায়। দারিদ্র্য, শিক্ষা ও মৌলিক সুযোগ-সুবিধার অভাবে এই জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ মানুষ এখনো জীবনের সঙ্গে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।

মোনালিসা ছোটবেলায় দেখেছিল তার পরিবারকে দারিদ্র্যের শিকার হয়ে কঠোর পরিশ্রম করতে। তাদের দিন কাটতো ভিখারি বা অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে। এসবের মধ্যে, পড়াশোনার কোনো স্থান ছিল না। তবে মোনালিসা অন্যরকম ছিল। সে জানত, সে অন্য সবার মতো হতে চায় না। তার চোখে ছিল এক নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন।

এ বছর মহাকুম্ভ মেলায় মোনালিসা ফুল বিক্রি করতে গিয়েছিল। তার গভীর নীল চোখ এবং স্ফুলিঙ্গের মতো জ্বলতে থাকা ব্যক্তিত্ব সহজেই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। কিন্তু তার সুন্দর চেহারা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও, তার পরিচয় জানার পর অনেকেই তার কাছ থেকে মালা কিনতে চাইতেন না। তার সম্প্রদায়ের প্রতি সমাজের নেতিবাচক মনোভাব তাকে বারবার অপমানিত করেছে। কিন্তু এই রকম কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও মেয়েটি হাল ছাড়েননি।

একদিন হঠাৎ পরিচালক সানোজ মিশ্রের সঙ্গে দেখা হয় তার। সিনেমা নির্মাতা মিশ্র তার মধ্যে এক বিশেষ কিছু দেখতে পেলেন। মোনালিসা যে এক অনন্য সম্ভাবনার প্রতিচ্ছবি তা স্পষ্ট বুঝতে পেরেছিলেন তিনি। সেই মুহূর্তেই একটি সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ দিলেন।  শুধু তার সৌন্দর্যের কারণে নয়, বরং তার আত্মবিশ্বাস এবং সংগ্রামী মানসিকতার জন্যই তিনি মোনালিসাকে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ দেন। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, মিশ্র তাকে শিক্ষার আলোয় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন।

মিশ্র তাকে অক্ষর শেখানো শুরু করলেন। একদিন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, মিশ্র তাকে অক্ষর শেখাচ্ছেন এবং ধীরে ধীরে তিনি লিখতে ও পড়তে শিখছেন। ভিডিওটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল এই ভিডিওটি দেখে অনেকেই তার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহের প্রশংসা করেছেন। এই সেই মোনালিসা, যার জীবন ছিল খুব কঠিন, এখন এক নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছিলেন। তার সংগ্রাম, তার শিক্ষা এবং তার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি সারা দেশে আলোচিত হতে লাগল।

আজ, মোনালিসা শুধু মহাকুম্ভ মেলার "ফুল বিক্রেতা" হিসেবে পরিচিত নয়। তিনি হয়ে উঠেছেন একটি প্রতীক, যা কঠিন পরিস্থিতি, দারিদ্র্য, এবং বৈষম্যের মধ্যেও সম্ভব। মোনালিসা শিখিয়েছে যে, জীবনে যদি সঠিক সুযোগ এবং সহায়তা পাওয়া যায়, তাহলে জীবনের এক একটি অধ্যায় বদলে যেতে পারে। সে এখন একজন অভিনেত্রী, একজন শিক্ষার্থী, এবং সবচেয়ে বড় কথা, সে একটি অনুপ্রেরণা। তার জীবনের গল্প শুধু তার নিজের নয়, বরং সকল প্রান্তিক মানুষের জন্য এক নতুন আশার বাতিঘর হয়ে উঠেছে।

মোনালিসার জীবনের সংগ্রাম অনেকাংশে মিল পাওয়া যায় বিশিষ্ট লেখক লক্ষ্মণ গায়কোয়াড়ের সঙ্গে, যিনি বানজারা সম্প্রদায়ের প্রথম শিক্ষিত ব্যক্তিদের একজন। তার আত্মজীবনীমূলক বই "উচ্ছক্কা"-তে তিনি তার জীবনসংগ্রামের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, কীভাবে তার পরিবার ও সমাজ শিক্ষাকে অগ্রহণযোগ্য মনে করত। ছোটবেলায় তিনি স্কুলে যেতে শুরু করলে তার সম্প্রদায়ের মানুষ তাকে অপয়া বলত। তবে গায়কোয়াড় সব প্রতিকূলতা জয় করে পড়াশোনা করেন এবং পরবর্তীতে লেখক ও সমাজকর্মী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তার বই "উচ্ছক্কা" আজ ভারতের বহু ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং অনেক প্রান্তিক মানুষের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে।

আজকের দিনে দাঁড়িয়ে মোনালিসা শুধু নিজের জীবনের পরিবর্তন নয়, বরং সমগ্র বানজারা সম্প্রদায়ের জন্য এক নতুন আশার আলো। তার ভাইরাল হওয়া শুধু তার সৌন্দর্যের কারণে নয়, বরং তার সংগ্রামী জীবনের কারণে মানুষ তাকে গ্রহণ করছে। তার শিক্ষা ও অভিনয়ের পথে যাত্রা আবারও প্রমাণ করে কারো জীবন বদলে দিতে একটি সুযোগ এবং একটি সহানুভূতিশীল হাত যথেষ্ট।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার গল্প ছড়িয়ে পড়ার ফলে অনেকেই এখন বানজারা সম্প্রদায়ের মানুষদের প্রতি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। মোনালিসার গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয় সমাজে যারা উপেক্ষিত, তাদের মধ্যে অজস্র প্রতিভা লুকিয়ে থাকে। তার সংগ্রাম, তার অভ্যন্তরীণ শক্তি, এবং তার শিক্ষা-ভিত্তিক পরিবর্তন একটি বিপ্লব ঘটিয়েছে। আজকের মোনালিসা আর ফুল বিক্রেতা নয়। সে এখন একটি নতুন সম্ভাবনার প্রতীক। তার গল্প একদিন পরিণত হবে অন্যদের জীবন পরিবর্তনকারী গল্পে।

এটি শুধু মোনালিসার গল্প নয়, এটি শিক্ষার শক্তি, আত্মবিশ্বাসের জয়, এবং মানবতার রূপান্তরের গল্প। এই কাহিনী প্রমাণ করে দেয় জীবনে পরিবর্তন আনতে যদি সঠিক সুযোগ ও সহায়তা দেওয়া হয়, তবে একেকটি জীবন হয়ে উঠতে পারে জীবনের সবচেয়ে সুন্দর গল্প।

তাই মোনালিসার নাম আজ একটি পরিচিত নাম। তার সংগ্রামের এই নতুন অধ্যায় অনেকের জীবনে নতুন আলো নিয়ে এসেছে। তার কাহিনী এক জীবন্ত প্রমাণ যে, যে কোনো পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব, যদি সাথে থাকে সঠিক পথপ্রদর্শক। সঠিক দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতা পেলে, বানজারা সম্প্রদায়ের শিশুরাও শিক্ষিত হয়ে উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে পারবে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ বন র স ত র জ বন র জ বন র স ন দর র পর ব ত র পর র জন য একদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা

সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুর শহরে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)–এর কাছ থেকে পালিয়ে আসা ক্ষুধার্ত এবং নির্যাতিত মানুষেরা বিভিন্ন সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতাগুলো বর্ণনা করছেন। তবে তাঁরা পালাতে পারলেও হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশের শহর ছিল রাজ্যটিতে সুদানি সেনাবাহিনীর সর্বশেষ ঘাঁটি। গত রোববার আরএসএফ বাহিনী এটির দখল নেয়। এরপর থেকে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা স্থানীয় মানুষের পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এরই মধ্যে দারফুরে ধর্ষণ, মুক্তিপণ ও গণহত্যাসহ অন্যান্য নির্যাতনের কথা সামনে আসছে।

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ইসমাইল বলেন, ‘খার্তুমের বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সঙ্গে পড়াশোনা করেছেন এমন একজন তরুণ সেখানে ছিলেন। তিনি তাঁদের বললেন, “ওকে হত্যা করো না”। এরপর তাঁরা আমার সঙ্গে থাকা সব তরুণ ও আমার বন্ধুদের হত্যা করেন।’

তাবিলা এলাকায় পালিয়ে আসা অন্য নাগরিকেরাও তাঁদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তেমনই একজন তাহানি হাসান। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই তাঁরা সেখানে হাজির হলেন। কোথা থেকে এলেন জানি না। ভিন্ন ভিন্ন বয়সী তিন তরুণকে দেখা গেল। তাঁরা আকাশে গুলি ছুড়লেন এবং বললেন, ‘থামো, থামো’। তাঁরা আরএসএফের পোশাকে ছিলেন।’

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। আলখেইর বলেছেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত ব্যক্তি হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তাহানি হাসান বলেন, ‘এই তরুণেরা আমাদের বেধড়ক মারধর করেছেন। আমাদের পোশাক মাটিতে ছুড়ে ফেলেছেন। এমনকি আমি একজন নারী হওয়ার পরও আমাকে তল্লাশি করা হয়েছে। হামলাকারীরা সম্ভবত বয়সে আমার মেয়ের চেয়েও ছোট হবে।’

ফাতিমা আবদুলরহিম তাঁর নাতি–নাতনিদের সঙ্গে তাবিলাতে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, পাঁচ দিন ধরে অনেক কষ্ট করে হেঁটে তাবিলাতে পৌঁছাতে পেরেছেন।

ফাতিমা বলেন, ‘তাঁরা (আরএসএফের সদস্যরা) ছেলেশিশুগুলোকে মারলেন এবং আমাদের সব সম্পদ কেড়ে নিলেন। আমাদের কিছুই রাখা হলো না। আমরা এখানে পৌঁছানোর পর জানতে পারলাম, আমাদের পর যেসব মেয়ে এসেছে, তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে আমাদের মেয়েরা বেঁচে গেছে।’

পালিয়ে আসা তরুণী রাওয়া আবদাল্লা বলেছেন, তাঁর বাবা নিখোঁজ।

গত বুধবার রাতে দেওয়া এক বক্তৃতায় আরএসএফের প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালো বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তাঁর যোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। হামদান ‘হেমেদতি’ নামেও পরিচিত।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানি সেনাদের সঙ্গে আরএসএফ সদস্যদের লড়াই চলছে। গত বৃহস্পতিবার আরএসএফ দাবি করে, নির্যাতনের অভিযোগে বেশ কয়েকজন যোদ্ধাকে আটক করেছে তারা।

তবে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার সাধারণ নাগরিকদের ওপর আরএসএফ সদস্যদের নিপীড়নের অভিযোগ তদন্তে বাহিনীটির দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরএসএফের একজন উচ্চপদস্থ কমান্ডার এই ঘটনাগুলো ‘গণমাধ্যমের অতিরঞ্জন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর দাবি, এল–ফাশেরে নিজেদের পরাজয় ও ক্ষয়ক্ষতি আড়াল করতে সেনাবাহিনী এবং তাদের মিত্ররা এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, এ সংঘাত চলাকালে আরএসএফ ও সেনাবাহিনী—দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। সংঘাতে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। সংঘাতকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। বিরাজ করছে ব্যাপক দুর্ভিক্ষের অবস্থা। পাশাপাশি কলেরা ও অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগের সংক্রমণ বাড়ছে।

দারফুর থেকে পালিয়ে আসা লোকজন তাবিলা এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
  • নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের ৩১ বিভাগকে প্রস্তুতির নির্দেশ ইসির