‘দ্য ডার্ক ক্রিস্টালে’ মুগ্ধ দর্শক
Published: 17th, February 2025 GMT
মানিকগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে মুনীর চৌধুরী প্রথম জাতীয় নাট্য উৎসব। এ উৎসবে গত রোববার রাতে মঞ্চস্থ হয়েছে ‘দ্য ডার্ক ক্রিস্টাল’। এতে নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক নাট্যকার ইরা আহমেদ।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘লাশের দেশ’ নামে নাটকের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সাত দিনব্যাপী এ উৎসবের ঢাকা বিভাগের প্রতিযোগিতা।
মানিকগঞ্জ জেলা কালচারাল অফিসার মুখলেসা হিরারি জানান, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এ উৎসব উদ্বোধন করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড.
‘দ্য ডার্ক ক্রিস্টাল’ নাটকের নাট্যকার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ইরা আহমেদ বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এ নাটকে ৬টি ভাগে ১৪ জন শিল্পী অভিনয় করেছেন। ক্ষমতা, পুঁজিবাদ, নারীর প্রতিবন্ধকতা, ডিজিটাল প্রতারণা, নারীর মানসিক অবস্থা, ধর্ষণ প্রভৃতি বিষয় উঠে এসেছে নাটকটিতে।
তিন সন্তান নিয়ে নাটক দেখতে এসেছেন তৃষ্ণা সরকার। তিনি বলেন, এখনকার সন্তানরা মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এ ধরনের নাটক নিয়মিত হলে সন্তানরা অনেক কিছু শিখতে পারবে।
কলেজ শিক্ষার্থী সোহেল রানা জানান, এ ধরনের হলে বসে আগে নাটক দেখার সুযোগ হয়নি তাঁর। ‘দ্য ডার্ক ক্রিস্টাল’ নাটকটি অনেক ভালো লেগেছে। এ নাটকে সমাজের অনেক অসংগতি তুলে ধরা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নাট্যব্যক্তিত্ব ডক্টর ইসলাম শরিফ বলেন, ভাষা আন্দোলনের সময় মুনীর চৌধুরী জেলে বসে নাটক লিখেছেন। ৫ আগস্ট পরবর্তীকালে নাটকের ক্ষেত্রে স্থবিরতা নেমে আসে। শিল্পচর্চাকে গতিশীল করতে সারাদেশে নাট্যকর্মীদের কর্মশালা হয়েছে। শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে প্রতিটি বিভাগে মঞ্চস্থ হচ্ছে নাটক। এর পর বাছাই করে প্রতিটি বিভাগ থেকে দুটি দল জাতীয় পর্যায়ে নাটক মঞ্চস্থ করবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
রাজধানীর বাংলা মোটরের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শিশুসাহিত্যিক অমিত কুমার কুণ্ডুর শিশুতোষ ছড়ার বই ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসব হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিল বইটির প্রকাশনা সংস্থা পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড।
শিক্ষাবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন সাহিত্যিক রফিকুর রশীদ। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক দন্ত্যস রওশন, লোকসংস্কৃতিবিদ তপন বাগচী, শিশুসাহিত্যিক সঙ্গীতা ইমাম, কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার। অনুষ্ঠানে বক্তারা বইটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
আরো পড়ুন:
নদী স্মৃতিনির্ভর সংকলন গ্রন্থ ‘আমার নদী’ প্রকাশিত
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
প্রধান অতিথির আলোচনায় রফিকুর রশীদ বলেন, “১২৪টি ফলের ওপর লেখা এই বইয়ের ছড়াগুলো কেবল পাঠকের রসাস্বাদনই করাবে না, শিশু শিক্ষামূলক এই ছড়াগুলো রসোত্তীর্ণও বটে।”
তিনি দেশের প্রকাশকদের অংশগ্রহণের ওপর জোর দিয়ে বলেন,“প্রকাশকদের বেশি বেশি এরকম প্রকাশনা উৎসব আয়োজন করা উচিত।”
বইটির ব্যতিক্রমী আকৃতির দিকে ইঙ্গিত করে দন্ত্যস রওশন বলেন, “পাঠক তৈরির প্রয়াসেই পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স এমন ক্ষুদ্রাকৃতির ও নতুন নতুন সাইজের বইয়ের ধারণা বাজারে আনছে। এটা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।”
শিক্ষাবিদ সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, “শিক্ষার দুটো দিক রয়েছ।একটি হলো ট্রাডিশনাল, যা আমরা পড়েছি, আপনারাও পড়েন। আরেকটি হলো জাঁ জ্যাক রুশোর পদ্ধতি। তিনি বলেছে, প্রকৃতির সঙ্গে শেখা।রবীন্দ্রনাথ যা বিশ্বভারতীর মাধ্যমে করিয়ে দেখিয়েছেন।অমিত কুমার কুণ্ডুর ছড়ার বইটি সে রকমই।এর মাধ্যমে প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করবে শিশুরা ও ওরা শিখবে। এরকম বই প্রকাশ করার জন্য প্রকাশকে ধন্যবাদ। আমাদের প্রকাশকদের এ ধরনের বই বেশি বেশি করতে হবে।”
কাঁচামিঠে ফলের ছড়া বইটির পাতায় পাতায় দেশি-বিদেশি বিচিত্র ফলের পরিচয়, পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা নান্দনিক অলংকরণে ছন্দে-ছড়ায় তুলে ধরা হয়েছে। বইটি থেকে ছড়া আবৃত্তি করে বাচিক শিল্পী জান্নাতুল ফেরদৌস মুক্তা।
অনুষ্ঠান শেষে ছিল মৌসুমী ফল দিয়ে অতিথিদের অ্যাপায়নের ব্যবস্থা।
ঢাকা/এসবি