তারুণ্যের উৎসবে স্কুল দাবায় দুই বিভাগে চ্যাম্পিয়ন সাউথ পয়েন্ট স্কুল
Published: 18th, February 2025 GMT
তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত দলগত স্কুল র্যাপিড দাবায় ওপেন ও মেয়েদের দুই বিভাগেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ। গত শুক্রবার বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ওপেন বিভাগে রানার্সআপ হয়েছে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং মেয়েদের বিভাগে দ্বিতীয় সেরা হয়েছে আগামী ফাউন্ডেশন স্কুল।
সাউথ পয়েন্ট স্কুলের ওপেন দলে খেলেছে রায়ান রশিদ মুগ্ধ ও ওয়ার্সিয়া খুশবু। এই দলে আরও ছিল সাফায়াত কিবরিয়া, মুহতাদি তাজওয়ার ও রিয়াজুল আহনাফ। প্রতিযোগিতায় পূর্ণ ১০ পয়েন্ট পেয়েছে এই দলটি। অন্যদিকে আদমজী স্কুল পেয়েছে ৭ পয়েন্ট, সাউথ পয়েন্টের চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের দলও পেয়েছে পূর্ণ ৭ পয়েন্ট। আর রানার্সআপ আগামী ফাউন্ডেশনের পয়েন্ট ৬।
বালিকা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ বালিকা দল।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’