সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
Published: 18th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: রিপন সরকারকে আহ্বায়ক ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: রেদোয়ান হোসেন পাপ্পুকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা ও সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে এ আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
আহ্বায়ক কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলো, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম মাষ্টার, যুগ্ম আহ্বায়ক আহম্মেদ হুমায়ুন কবির, নূরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল হোসেন (সুহিন), ইঞ্জি.
নবগঠিত সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো: রেদোয়ান হোসেন পাপ্পু জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি ঘোষণা করায় মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিপ্লবী আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা ভাই ও সংগ্রামী সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু ভাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই আমাদের প্রতি আস্থা রাখার জন্য।
আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা কোন ভাইয়ের রাজনীতি করতে চাইনা। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক স্বেচ্ছাসেবক দলের কার্যক্রম পরিচালনা করে বিএনপিকে শক্তিশালী করতে বদ্যপরিকর।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো: রিপন সরকার বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনার মধ্য দিয়ে তৃনমূলের দীর্ঘ প্রতিক্ষার প্রতিফলন হয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ আমাদের উপর আস্থা রেখে যে, পবিত্র দায়িত্ব অর্পণ করেছে আমরা তা পালনে অঙ্গীকার বদ্ধ। সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করব।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ থ ন ল ইসল ম রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।