Samakal:
2025-08-02@02:31:54 GMT

যুবদলের পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ

Published: 19th, February 2025 GMT

যুবদলের পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের নবগঠিত কমিটির পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা গতকাল রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে। মঙ্গলবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী বিক্ষোভ মিছিল করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। 

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ করেন নেতা-কর্মীরা। তারা অবিলম্বে যোগ্য নেতা-কর্মীদের মূল্যায়নের দাবি জানান। এ দাবিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা। 

তাদের অভিযোগ, অনেক সিনিয়র নেতাদের কমিটিতে রাখা হয়নি। অযোগ্য ও ব্যক্তিগত পছন্দের নেতাদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

মিছিলে অংশ নিয়েছেন, দক্ষিণ যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আরটি মামুন, আসিফুর রহমান বিপ্লব, মো.

জিন্নাহ, জাকির হোসেন বাবু, আতাউর রহমান, সাবেক সদস্য ইমরান খান ইমন, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।   

সম্প্রতি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল কমিটি গঠন করা হয়। এতে অনেক ত্যাগী ও যোগ্য নেতাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ আছে, দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন তার অনুগতদের দিয়ে কমিটি করেছেন। নয়নের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের পর দিলকুশায় ইসলামী ব্যাংক দখলের অভিযোগ আছে। তার উপস্থিতিতে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে ভাঙচুরও করা হয়। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ য বদল র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়েদের জন্য অনুপ্রেরণা

দেশের নারী ফুটবল দলের একের পর এক সাফল্য প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়েদের স্বপ্ন জুগিয়ে যাচ্ছে। যেমনটি দেখা যাচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলায়। সেখানকার ছোট্ট গ্রাম রাঙাটুঙ্গীর মেয়েদের অনুপ্রেরণার নাম এখন ফুটবল। গ্রামটিকে পরিচিত করে তুলছে একদল অদম্য নারী ফুটবলার। আর তাদের এগিয়ে নিতে আছেন কোচ তাজুল ইসলাম। রোদ, বৃষ্টি, সামাজিক কটূক্তি—সবকিছু উপেক্ষা করে গ্রামের মাঠে প্রতিদিন বিকেলের নিয়মিত অনুশীলনে যে চিত্র ফুটে ওঠে, তা খুবই আশাব্যঞ্জক। 

২০১৪ সালে স্থানীয় টুর্নামেন্টে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর কিছু মেয়ের ফুটবলপ্রেম দেখে তাজুল ইসলাম গড়ে তোলেন ‘রাঙাটুঙ্গী ইউনাইটেড মহিলা ফুটবল একাডেমি’। সে সময় তাঁর এই উদ্যোগের জন্য তিরস্কার ও সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন তিনি; কিন্তু তাজুল ইসলাম, কোচ সুগা মুর্মু ও সাবেক স্থানীয় ফুটবলার জয়নুলের অবিরাম প্রচেষ্টায় সেই তিরস্কার ও সমালোচনা আজ গর্বে পরিণত হয়েছে।

মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে এই একাডেমি থেকে উঠে আসেন মুন্নি আক্তার, সোহাগী, স্বপ্না রানী, সাগরিকা, কোহাতির মতো প্রতিভাবান খেলোয়াড়। বর্তমানে এই একাডেমি থেকে ২৩ জনের বেশি তরুণী জাতীয় দলসহ বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দল ও লিগে খেলছেন। তাঁদের এই সাফল্য দেখে এখন গ্রামের মানুষ, এমনকি একসময়কার সমালোচকেরাও তাঁদের নিয়ে গর্ব করেন। রাঙাটুঙ্গীর মানুষের কাছে ফুটবল এখন শুধু একটি খেলা নয়, এটি একটি আন্দোলন, যা গ্রামের মেয়েদের জন্য সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে।

জাতীয় দলের খেলোয়াড় কোহাতি কিসকু জানান, এ অবস্থানে আসা সহজ ছিল না। মাঠে আসার পথে তাঁদের অনেক কটূক্তি শুনতে হয়েছে; কিন্তু কোচ ও প্রশিক্ষকদের উৎসাহ এবং নিজেদের দৃঢ় মনোবল তাঁদের এগিয়ে নিয়ে গেছে। তাঁদের এই সাফল্য প্রমাণ করে, মেধা ও ইচ্ছাশক্তি সব ধরনের সামাজিক বাধা ভেঙে দিতে পারে।

তবে এই সাফল্যের পেছনেও রয়েছে কিছু সীমাবদ্ধতা। তাঁদের অনুশীলনের মাঠটি এবড়োখেবড়ো, অনুশীলনের জন্য আধুনিক সরঞ্জাম বা পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। অনেক খেলোয়াড়ের পরিবারের তিন বেলা খাবার জোগাড় করাই কঠিন। তাজুল ইসলাম নিজের অর্থায়নে একাডেমি চালালেও একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ছাড়া এ আন্দোলনকে টিকিয়ে রাখা কঠিন।

রাঙাটুঙ্গীর ফুটবল আন্দোলন প্রমাণ করে, একটি স্বপ্ন আর কিছু মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা কত বড় পরিবর্তন আনতে পারে। তবে এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা অপরিহার্য। মাঠের সংস্কার, খেলার সরঞ্জাম এবং খেলোয়াড়দের জন্য পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করা জরুরি। আমাদের সবার প্রত্যাশা, রাঙাটুঙ্গীর মেয়েরা একদিন বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে দেশের সম্মান বাড়াবে। ক্লাবটির পৃষ্ঠপোষকতায় স্থানীয় প্রশাসন ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসবে, সেটিই কাম্য।

সম্পর্কিত নিবন্ধ