মেঘের বয়স যখন দুই বছর, তখন তার বাবা রাজনৈতিক সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ছেলেকে মানুষ করতে লেখাপাড়ার পাশাপাশি সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন মা মাসুমা ইসলাম। জীবন গুছিয়ে নিয়ে সবে সুদিনের স্বপ্ন দেখছিলেন মাসুমা। হঠাৎ সড়ক দুর্ঘটনায় থেমে গেল এই সাংবাদিকের জীবনের লড়াই। একা হয়ে গেল ১২ বছরের ছেলে মেঘ।

মাসুমা ইসলাম বেসরকারি এখন টেলিভিশনের রাজশাহী ব্যুরো অফিসের সাংবাদিক ছিলেন। এই বিভাগীয় শহরে টেলিভিশনে কাজ করা একমাত্র নারী সাংবাদিক ছিলেন তিনিই। গতকাল মঙ্গলবার নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের বাড়িতে যখন তাঁর দাফন করা হয়, তখন কবরস্থানের প্রাচীর ধরে পাথরের মতো দাঁড়িয়েছিল ছেলে মেঘ। তার চোখে কোনো অশ্রু ছিল না। দেখে মনে হলো, চাপা কান্না বুকে নিয়ে ছেলেটি দাঁড়িয়ে আছে।

বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে টেলিভিশন সাংবাদিকতায় একমাত্র নারী ছিলেন মাসুমা ইসলাম.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন আইফোন কেনার মতো টাকা আয় করতে যুক্তরাষ্ট্রে লাগবে ৫ দিন, বাংলাদেশে কত দিন

ছবি: অ্যাপল

সম্পর্কিত নিবন্ধ