ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডের নাম পরিবর্তন, হবে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স পিএলসি
Published: 20th, February 2025 GMT
ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এখন থেকে কোম্পানির নাম হবে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স পিএলসি।
ডিএসএইর ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে এই নাম পরিবর্তন কার্যকর হবে, অর্থাৎ সেদিন থেকে কোম্পানিটি ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স পিএলসি নামে পরিচিত হবে।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৮৬ টাকা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ৫৫ টাকা। ২০২৪ সালে কোম্পানিটি ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এ ছাড়া ২০২৩ সালে ৫ শতাংশ, ২০২২ সালে ৫ শতাংশ, ২০২১ সালে ৬ শতাংশ ও ২০২০ সালে ৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডকে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স পিএলসিতে রূপান্তরের অনুমতি দেন। এরপর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এ বিষয়ে আবেদন করে কোম্পানিটি। সেই আবদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএসই এ অনুমোদন দেয়। এর খবর আজ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৪৯ কোটি টাকা।
ড্যাফোডিল প্রাথমিকভাবে কম্পিউটারের ব্যবসা দিয়ে কোম্পানির কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীকালে তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন, এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।
আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বারের হলরুমে ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার সংকট ও আইনি প্রতিকার পাওয়ার পথ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেড আই খান পান্না। সেমিনারটির আয়োজন করে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।
বক্তব্যে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘এখানে সংখ্যালঘুর কথা বলা হচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখন আমি সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু। আজ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা দেখি, জুতা দিয়ে বাড়ি দিতে দেখি, কিন্তু কিছু করতে পারি না। তাই আমি সবচেয়ে বড় অসহায়।’
এসব কথা বলতে বলতে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না কেঁদে ফেলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, জীবনে কখনো জেনে-বুঝে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করেন, তাঁদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
জেড আই খান পান্না আরও বলেন, ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, কারও সঙ্গে এর তুলনা চলে না। এটা সাম্প্রদায়িকতার দেশ না। সংবিধানে যেন কেউ হাত না দেয়। সরকারের অনেকেই বিদেশি হয়েও স্বদেশি ভাব দেখাচ্ছেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার যেন নিঃশেষ হয়ে গেছে। সমাজে ন্যায়বিচার বা সুবিচার পাওয়ার কথা থাকলেও তা মিলছে না। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচার হয় না। কেউ কেউ ধরা পড়লেও পরে বেরিয়ে যায়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুমন কুমার রায় বলেন, সব সরকারের আমলেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত। বর্তমান নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। সংস্কার কমিশনে সংখ্যালঘুদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা হলেও সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া আসে না, এমনকি দুঃখও প্রকাশ করে না।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ শুরু হলে তা দমন করতেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে সুমন কুমার দাবি করেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সনাতনী সম্প্রদায়ের বাক্স্বাধীনতা বন্ধ করতে, নেতৃত্ব দমন করতে এসব করা হচ্ছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে কে পাল। সঞ্চালনায় ছিলেন এইচআরসিবিএমের বাংলাদেশ চ্যাপটারের আহ্বায়ক লাকি বাছাড়। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরশেদ ও মো. গোলাম মোস্তফা।