জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের ওপর ‘গুলি’ চালানোর অভিযোগ
Published: 20th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ওপর গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রাসেল আহমেদ (৩৩) নামের এক যুবক আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার টেকনোয়াদ্দা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তের নাম হারুন-অর-রশিদ। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা। তবে দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে রূপগঞ্জে বসবাস করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি টেকনোয়াদ্দা এলাকার আক্কাস আলী গংদের কাছ থেকে কিছু জমি কিনেন হারুন-অর-রশিদ। একই ব্যক্তিদের কাছ থেকে একই দাগে জমি কিনেন বাড়িয়াছনি গ্রামের সিরাজ আহমেদের ছেলে শামীম আহমেদ।
বুধবার টেকনোয়াদ্দা মৌজার জমির জরিপ কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা টেকনোয়াদ্দা এলাকায় আসেন। খবর পেয়ে হারুন-অর-রশিদ ও শামীম আহমেদ টেকনোয়াদ্দা আসেন। এ সময় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে হারুন-অর-রশিদের সঙ্গে শামীম আহমেদের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে হারুন-অর-রশিদের সমর্থিতরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শামীম আহমেদের লোকজনদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হারুন-অর-রশিদের মোবাইল ছিনিয়ে নেয় শামীম আহমেদের লোকজন। এতে উত্তেজিত হয়ে হারুন-অর-রশিদ শামীম আহমেদকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। কিন্তু, সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে শামীম আহমেদের সঙ্গে থাকা রাসেল আহমেদের ডান পায়ে লাগে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘‘আমার কেনা জমি সার্ভেয়ারকে দেখাতে গেলে শামীমসহ কয়েকজন বাধা দেয় ও মারধর করে। এ সময় আমার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমার মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ সময় আত্মরক্ষায় নিজের নামে লাইসেন্স করা পিস্তল দেখিয়ে মোবাইল দিতে বলি। তবে, কোনো গুলি চালানো হয়নি।’’
এদিকে, এ ঘটনায় হারুন-অর-রশিদের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭ থেকে ৮ জননের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শামীম আহমেদ।
রূপগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, ‘‘এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ম ম আহম দ র র পগঞ জ এ সময়
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের বেতন বাড়াল বিসিবি
জাতীয় দলের নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আজ মিরপুরে বিসিবি পরিচালকদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এত দিন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা মেয়েরা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মাসিক বেতন পেতেন। তাঁদের বেতন ৪০ হাজার টাকা বাড়ানো হচ্ছে। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটাররা পেতেন ১ লাখ টাকা করে বেতন। তাঁরা এখন থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বেতন পাবেন।
‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন ৭০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৫ হাজার টাকা করা হয়েছে আর ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ৬০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ হাজার টাকা।
এ ছাড়া জাতীয় দলের অধিনায়কদের জন্য ৩০ হাজার ও সহ-অধিনায়কদের জন্য ২০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া নারী ক্রিকেটারদের নতুন চুক্তিতে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছেন তিন ক্রিকেটার—নিগার সুলতানা, নাহিদা আক্তার ও শারমিন আক্তার। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে আছেন ফারাজনা হক, রিতু মনি, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, রাবেয়া খান ও সোবহানা মোস্তারি। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আছেন স্বর্ণা আক্তার।
‘ডি’ ক্যাটাগরিতে আছেন সুমাইয়া আক্তারর, ফারিহা ইসলাম, রুবাইয়া হায়দার, সানজিদা আক্তার, নিশিতা আক্তার। এই চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের কেউ জাতীয় দলে এলে মাসে ৬০ হাজার টাকা বেতন পাবেন।