গত ১২ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় তেলেগু ভাষার নতুন সিনেমা ‘ডাকু মহারাজ’। সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন দক্ষিণী সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা নান্দামুরি বালাকৃষ্ণা। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র রূপায়ন করেছেন বলিউড অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলা।

সিনেমাটির ‘দাবিডি ডিবিডি’ শিরোনামের গানে ৩৪ বছরের ছোট উর্বশীর সঙ্গে নেচেছেন নান্দামুরি বালাকৃষ্ণা। সিনেমা মুক্তির আগেই গানটির অংশবিশেষ নিজের ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করেন উর্বশী। তারপরই শুরু হয় কড়া সমালোচনা। রীতিমতো বিতর্কে জড়ান নান্দামুরি-উর্বশী। নেটিজেনরা উর্বশী-নান্দামুরির নাচকে ‘অশ্লীল’ বলে মন্তব্য করেছেন। এ নিয়ে এখনো সমালোচনা বন্ধ হয়নি।

প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর ‘ডাকু মহারাজ’ সিনেমা বক্স অফিসে বেশ সাড়া ফেলে। এবার নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেতে যাচ্ছে এটি। এরই মধ্যে খবর চাউর হয়েছে, উর্বশীর ‘অশ্লীল নাচের’ দৃশ্য মুছে নেটফ্লিক্সে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়া হবে। এ নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমও খবর প্রকাশ করে। কিন্তু এ খবর সত্য নয় বলে জানিয়েছে দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল।

আরো পড়ুন:

কন্যাসন্তান নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে চিরঞ্জীবী

কত টাকা আয় করল নাগা-সাই পল্লবীর সিনেমা?

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সের একটি সূত্র দ্য ফ্রি প্রেস জার্নালকে বলেন, “এই খবরটি পুরোপুরি মিথ্যা। এই প্রতিবেদনের কোনো সত্যতা নেই। নেটফ্লিক্স কোনো দৃশ্য ডিলিট করেনি। প্রেক্ষাগৃহে যে ‘ডাকু মহারাজ’ প্রদর্শিত হয়েছে, নেটফ্লিক্সেও সেটাই দেখানো হবে।”

চার দিন আগে নেটফ্লিক্সের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ‘ডাকু মহারাজ’ সিনেমার পোস্টার প্রকাশ করা হয়। এ পোস্টার দেখা যায়নি উর্বশীকে। এরপরই মূলত, এ অভিনেত্রীর দৃশ্য বাদ দেওয়ার গুঞ্জনের সূচনা। কিন্তু ওই পোস্টার প্রকাশের পর উর্বশীর সিঙ্গেল লুকের একাধিক ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) থেকে নেটফ্লিক্সে দেখা যাবে পূর্ণাঙ্গ সিনেমাটি।

অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার ‘ডাকু মহারাজ’ সিনেমা পরিচালনা করেছেন ববি কোলি। উর্বশী-নান্দামুরি ছাড়াও সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন— ববি দেওল, প্রজ্ঞা জয়সওয়াল, রবি কৃষাণ, ঋষি, রাও রমেশ প্রমুখ।

স্যাকনিল্কের তথ্য অনুসারে, ৩৮ দিনে ‘ডাকু মহারাজ’ বক্স অফিসে আয় করেছে ১২৫.

৫৯ কোটি রুপি।

২০১৫ সালে ‘মিস ডিভা ইউনিভার্স’ খেতাব জেতেন উর্বশী। এরপর সেই বছর ‘মিস ইউনিভার্স’ আসরে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। এখন পর্যন্ত সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি বিজয়ী হওয়ার রেকর্ড রয়েছে তার।

পাশাপাশি বলিউডের ‘সিং সাব দি গ্রেট’, ‘সনম রে’, গ্রেট গ্র্যান্ড মাস্তি’, ‘হেট স্টোরি ফোর’, ‘পাগলপান্তি’ প্রভৃতি সিনেমায় অভিনয় করেছেন উর্বশী। বর্তমানে তেলেগু ও হিন্দি ভাষার তিনটি সিনেমার কাজ তার হাতে রয়েছে।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় ওই চারজনের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবের শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বহিষ্কৃত সদস্যরা হলেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবির হোসেন, রফিকুল ইসলাম রফিক ও তরফদার আবদুল মুকিত। তাঁদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আদালতের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

এ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুর বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়াতে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ সমিতির নিয়মনীতির ঊর্ধ্বে নন। বৃহস্পতিবার ওই চার সদস্যকে বহিষ্কারের বিষয়টি নোটিশ দিয়ে জানানো হবে।’

সমিতি সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সৈয়দ কবির হোসেনের (জনি) কাছে ৩৫ লাখ টাকায় শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকায় জমি বিক্রি করেন ইমরান হাসান। জমি রেজিস্ট্রির আগে সব টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও সৈয়দ কবির হোসেন ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। বাকি ২৫ লাখ টাকা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন। পরে তিনি আরও ১৭ লাখ টাকা দেন। বাকি ৮ লাখ টাকা চাইলে হুমকি দিতে থাকেন কবির হোসেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ইমরান হাসান আইনজীবী সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে কবির হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কবির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে আইনজীবী কবির হোসেন বলেন, ‘বহিষ্কারের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে যে বিষয়ে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেই বিষয়ে অভিযুক্ত আমি নই। তারপরও আইনজীবী সমিতি আমার অভিভাবক; তারা যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তার বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’

অন্যদিকে অভয়নগরের নওয়াপাড়ার জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশন পাওনা টাকা আদায়ে আবদুর রাজ্জাককে মামলার আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছিল। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আবদুর রাজ্জাক আটটি চেকের মামলা পরিচালনা করেন। এসব মামলার রায় ও আপিল বাদীর অনুকূলে যাওয়ার পর আটটি চেকের ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেন আবদুর রাজ্জাক। এ টাকা জয়েন্ট ট্রেডিং কর্তৃপক্ষকে না দিয়ে তিনি ঘোরাতে থাকেন। চলতি বছরের ৪ জুন তিনি ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নগদায়ন করা যায়নি। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল ওহাব গত ২৮ জুলাই আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে যশোর আইনজীবী সমিতি‌ বরাবর অভিযোগ করেন।

এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবদুর রাজ্জাককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় যশোর আইনজীবী সমিতি। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আবদুর রাজ্জাককে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া রফিকুল ইসলাম রফিক তাঁর সহকর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ ও মামলা করতে টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে মামলা না করায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আইনজীবী তরফদার আবদুল মুকিতের বিরুদ্ধেও নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ