রিয়াল-অ্যাথলেটিকো মুখোমুখি, লিভারপুলকে পেল পিএসজি
Published: 21st, February 2025 GMT
প্লে অফ খেলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় আসা তিন বড় দল রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ ও পিএসজির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছিল। শেষ ষোলোর ড্র’য় কঠিন প্রতিপক্ষ পাওয়ার শঙ্কায় ছিল তারা। শঙ্কা অনুযায়ী, রিয়াল মাদ্রিদ নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে পেয়েছে। বায়ার্ন মিউনিখ মুখোমুখি হবে লিগ প্রতিদ্বন্দ্বী লেভারবায়ারকুসেনের।
গ্রুপ পর্বে কোন রকম পার পেয়ে প্লে অফে দুর্দান্ত খেলা পিএসজি মুখোমুখি হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টেবিলে শীর্ষে থেকে সরাসরি শেষ ষোলো নিশ্চিত করা লিভারপুলের। ওই তুলনায় বার্সেলোনা সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছে। তারা বেনফিকার বিপক্ষে কোয়ার্টারের লড়াইয়ে নামবে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগ ৪ ও ৫ মার্চ এবং ১১ ও ১২ মার্চ দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ মাঠে গড়াবে। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগ হবে ৮ ও ৯ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় লেগ মাঠে গড়াবে ১৫ ও ১৬ এপ্রিল। ২৯ ও ৩০ এপ্রিল সেমিফাইনালের প্রথম লেগ এবং ৬ ও ৭ মে হবে দ্বিতীয় লেগ। বায়ার্নের ঘরের মাঠ আলিয়েঞ্জ অ্যারেনায় ৩১ মে হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।
এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’