এখন বিদেশে শিক্ষার্থীদের অন্যতম একটি গন্তব্য হয়ে উঠেছে নিউজিল্যান্ড। উচ্চশিক্ষার নানা সুযোগ এবং বসবাসের উপযোগী হওয়ায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ দিনকে দিন বাড়ছে। দেশটিতে কেউ কেউ বৃত্তি নিয়ে, কেউবা নিজ খরচে পড়তে যান। দেশটিতে পড়ার জন্য একটি বৃত্তি হলো মানাকি বৃত্তি। নিউজিল্যান্ড সরকারের মানাকি বৃত্তির আবেদন চলছে। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। দেশটির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বৃত্তির অর্থায়ন করে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির আওতায় দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।

আরও পড়ুনমাধ্যমিকের সংশোধিত ছুটির তালিকা, এসএসসির প্রাক-নির্বাচনি ও নির্বাচনি পরীক্ষার নতুন তারিখ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫সুযোগ-সুবিধা—

মানাকি বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত।

উপবৃত্তি হিসেবে শিক্ষার্থীরা প্রতি সপ্তাহে ৫৩১ নিউজিল্যান্ড ডলার পাবেন।

আবাসন, পাঠ্যপুস্তক বা অধ্যয়ন উপকরণ কিনতে ভাতা ৩০০০ নিউজিল্যান্ড ডলার।

স্বাস্থ্যবিমা ও ভ্রমণ ভাতা।

বিমানে নিজ দেশে যাতায়াতের খরচ।

যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা—

অকল্যান্ড প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, লিংকন বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যাসি বিশ্ববিদ্যালয়, অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যান্টারবেরি বিশ্ববিদ্যালয়, ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াইকাটো বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়েলিংটনের ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সাউদার্ন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, ইউনিটেক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি।

ছবি: বৃত্তির ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যা জানা জরুরি

বিদেশি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার জন্য এখন কানাডা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি বছর অসংখ্য শিক্ষার্থী এ দেশে পড়তে আসছেন। সহজ অভিবাসন নীতি ও প্রাকৃতির সৌন্দর্যের কারণে অনেকেই এখন পড়াশোনার জন্য কানাডাকে বেছে নিচ্ছেন। 
কেন কানাডায় পড়াশোনা করবেন?    
lআন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ব্যবস্থা: কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং গবেষণার জন্য সুপরিচিত।    
lকম টিউশন ফি: অন্যান্য অনেক উন্নত দেশের তুলনায় কানাডায় টিউশন ফি তুলনামূলক কম।
lচাকরির সুযোগ: পড়াশোনা শেষে কাজের এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় আকর্ষণ।
lবহু-সংস্কৃতির পরিবেশ: কানাডা একটি বহু-সাংস্কৃতিক দেশ, যেখানে বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা সহাবস্থান করেন।
যোগ্যতা এবং আবেদন প্রক্রিয়া–
একাডেমিক যোগ্যতা– 
মাস্টার্স: সাধারণত একটি ভালো ব্যাচেলর ডিগ্রি এবং নির্দিষ্ট জিপিএ প্রয়োজন।
পিএইচডি: মাস্টার্স ডিগ্রি এবং গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কিছু প্রোগ্রামের জন্য সরাসরি ব্যাচেলর ডিগ্রি থেকে পিএইচডিতে আবেদন করা যায়, যদি আপনার একাডেমিক রেকর্ড খুব ভালো হয়।
ইংরেজি ভাষার দক্ষতা: 
IELTS (সাধারণত 6.5 বা তার বেশি), TOEFL (সাধারণত 86 বা তার বেশি), PTE (63 বা তার বেশি) অথবা Duolingo (110 বা তার বেশি) স্কোর প্রয়োজন। 
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: 
lপাসপোর্ট lএকাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশিট (স্ক্যান কপি)
lস্টেটমেন্ট অব পারপাস: কেন আপনি এই প্রোগ্রামটি বেছে নিচ্ছেন, আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী এবং কেন আপনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপযুক্ত, তা এখানে তুলে ধরতে হবে।
lরিকমেন্ডেশন লেটার (সাধারণত ২-৩টি)
lসিভি/রেজিউমে
কিছু প্রোগ্রামের জন্য GRE/GMAT স্কোর প্রয়োজন হতে পারে।
lকানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত বৃত্তি: একাডেমিক ফলাফলের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বৃত্তি প্রদান করে।
সরকারি বৃত্তি: কানাডা সরকার বিভিন্ন বৃত্তি দিয়ে থাকে যেমন: 
ভেনিয়ার কানাডা গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ (Vanier Canada Graduate Scholarships): এটি পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ বৃত্তি, যা প্রতি বছর প্রায় ৫৮ লাখ টাকা (তিন বছরের জন্য) পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেয়।
স্নাতকোত্তর ওয়ার্ক পারমিট এবং স্থায়ী বসবাসের সুযোগ:
lকানাডায় পড়াশোনা শেষ করার পর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা পোস্ট-গ্র্যাজুয়েশন ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য যোগ্য হতে পারে। এই পারমিট তাদের কানাডায় কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দেয়।
lপোস্ট-গ্র্যাজুয়েশন ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ সাধারণত প্রোগ্রামের দৈর্ঘ্যের ওপর নির্ভর করে, এবং এটি ৩ বছর পর্যন্ত হতে পারে।
lকানাডার কাজের অভিজ্ঞতা স্থায়ী বসবাসের  আবেদনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সাম্প্রতিক আপডেট (২০২৫):
lস্টাডি পারমিটের ক্যাপ: কানাডার ইমিগ্রেশন, রিফিউজি এবং সিটিজেনশিপ (IRCC) ২০২৫ সালের জন্য স্টাডি পারমিটের সীমা ঘোষণা করেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় ১০% কম (লক্ষ্যমাত্রা ৪,৩৭,০০০ ভিসা)।
lপ্রি-অ্যারাইভাল লেটার: মাস্টার্স এবং পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য এখন থেকে প্রি-অ্যারাইভাল লেটার বাধ্যতামূলক। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই প্রি-অ্যারাইভাল লেটার প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সহজ করেছে।
lপোস্ট-গ্র্যাজুয়েশন ওয়ার্ক পারমিটের যোগ্যতা: দীর্ঘমেয়াদি শ্রম ঘাটতির সম্মুখীন পেশার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রোগ্রাম অফারকারী পাবলিক কলেজ থেকে স্নাতকরা ৩ বছর পর্যন্ত PGWP এর জন্য যোগ্য হতে পারবেন।
কানাডায় মাস্টার্স বা পিএইচডি করার জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা এবং সময়সীমা ভালোভাবে দেখে নেওয়া উচিত। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সঠিকভাবে প্রস্তুত করা গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষকদের কাছ থেকে সুপারিশ
এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সুপারিশপত্র। একে letter of recommendation বলে। সাধারণত কোনো শিক্ষার্থী আবেদন করলে, সে কেমন তা জানার জন্য একটি গোপনীয় পত্র সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আপনার নির্বাচিত দু-তিনজন শিক্ষকের কাছে চাওয়া হয়। আপনার শিক্ষক আপনাকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন, তা লিখে জানাবেন। এই কার্যক্রমে আবেদনকারী কোনোভাবেই কিছু জানবে না। তবে শিক্ষার্থীদের উচিত হবে, যে যে শিক্ষকের নাম দেবে তাদের সঙ্গে আগে থেকে অনুমতি নেওয়া। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকের বিশ্ববিদ্যালয় ডোমেইনের ই-মেইল ব্যবহার করা উচিত। v

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চীনের প্রেসিডেনশিয়াল স্কলারশিপ, ১০ হাজার চায়নিজ ইউয়ানের সঙ্গে নানা সুযোগ
  • যা জানা জরুরি