মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘‘আমরা যারা উপদেষ্টা আছি, তারা শুধু চট্টগ্রামের জন্য নয় বরং বাংলাদেশের জন্য কাজে নেমেছি। আমরা ক্ষমতা নিতে নয়, দায়িত্ব পালন করতে এসেছি।’’

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গাজীপুরের পুবাইলে হাসনাহেনা পিকনিক স্পটে বৃহত্তর চট্টগ্রাম সমিতি-গাজীপুরের আয়োজনে মেজবান ও চট্টলা উৎসব-২০২৫ এর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রামের ভাষা রক্ষার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘‘চট্টগ্রামের জনগণ যে ভাষায় কথা বলেন, তার মধ্যে ইংরেজি, আরবি, পর্তুগিজ, আরাকানিজ ভাষার সংমিশ্রণ দেখা যায়। মাতৃভাষা দিবসে বলতে চাই, চট্টগ্রামের ভাষা একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষা।’’

উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘‘চট্টগ্রামের সমস্যা বলি আর গর্ব বলি, তারা মেজবান ছাড়া কিছু বোঝে না। মহেশখালীর পান বিশেষ গুণসম্পন্ন এবং জিআই পণ্য। এখানকার পানের যে গুণ আছে, দেশের অন্য কোনো পানে সে ধরনের গুণ নাই। মহেশখালীর পান আমাদের সম্পদ আর তা রক্ষায় আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।’’

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড.

আ ফ ম খালিদ হোসেন, বৃহত্তর চট্টগ্রাম সমিতি-গাজীপুরের সভাপতি মোহাম্মদ সোহেল সাদাত, সাধারণ সম্পাদক ড. দেবজ্যিৎ রায়, সমিতির উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম ঝিনুক প্রমুখ।

ঢাকা/এএএম/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ব ইজতেমা মার্চে 

প্রতিবছর জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হলেও এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে মার্চ মাসে করা হবে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ এ তথ্য জানিয়েছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ বা শুরায়ী নেজামের শীর্ষ নেতা মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারি।

আরো পড়ুন:

শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর ইজতেমা

দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিগত বছরগুলোতে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা হলেও আগামী বছর এক পর্বে হবে। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী বা সাদপন্থিদের ইজতেমা আয়োজনের সুযোগ থাকবে না। 

মুফতি কেফায়েতুল্লাহ বলেছেন, “তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ তাবলিগি এ মেহনতকে দ্বীনি মেহনত হিসেবে বিশ্বাস করে। দ্বীনি কাজের অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের অনুরোধ শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করে আমরা আগামী বিশ্ব ইজতেমা মার্চে আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, এ সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে সরকারের প্রতি সহযোগিতার শামিল।”

বিশ্ব ইজতেমা সাদপন্থিরা আয়োজন করতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “সরকারের কাছে তারা লিখিত দিয়ে গতবার শেষবারের মতো ইজতেমার আয়োজন করেছিল। সেক্ষেত্রে তাদের আর ইজতেমা করার সুযোগ নেই।”

বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিনটি অনুরোধ তুলে ধরা হয়।
১. আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের আগেই ইজতেমার দিন-তারিখ ঘোষণা এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে অবহিত করা।

২. ইজতেমা যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানকে অস্থায়ীভাবে কেপিআই (কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন) ঘোষণা।

৩. ইজতেমায় আসা বিদেশি অতিথিদের সময়মতো উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভিসা সহজীকরণ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা।

ঢাকা/রায়হান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ