ভারতের সাবেক ক্রিকেটার কেন পাকিস্তানের জয় চান
Published: 22nd, February 2025 GMT
পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ভারতের ক্রিকেটার ভারতেই জয় চাইবেন—এমনটাই স্বাভাবিক। পাকিস্তানের ক্রিকেটাররাও চাইবেন তাঁর দেশের জয়। শক্তিতে যে দলই এগিয়ে থাকুক না কেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, টেলিভিশনের টক শোতে নিজ দলের জয়ই সবার চাওয়া।
তবে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে একজন ব্যতিক্রমী সাবেক ক্রিকেটার পাওয়া গেল, যিনি প্রতিপক্ষের জয় চান। ভারতের সাবেক ক্রিকেটার অতুল ওয়াসান আগামীকাল দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয় দেখতে চান। চাওয়াটা অদ্ভুত। কিন্তু নব্বই দশকের ক্রিকেটার অতুলের কেন এমন চাওয়া?
ভারতের হয়ে ৪ টেস্ট ও ৫ ওয়ানডে খেলা অতুল আসলে পাকিস্তানের চেয়ে টুর্নামেন্টের স্বার্থই বেশি দেখছেন। এই মুহূর্তে পাকিস্তান ও ভারত দুই দল দুই মেরুতে।
আমি চাই পাকিস্তান জিতুক। কারণ টুর্নামেন্টের জন্য এটাই ভালো হবে। পাকিস্তানকে জিততে না দিলে তারা কী করবে?ভারতের সাবেক ক্রিকেটার অতুল ওয়াসানপাকিস্তান প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছে, অন্যদিকে ভারত জিতেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। এমন পরিস্থিতিতে আগামীকাল দুবাইয়ে খেলবে ভারত-পাকিস্তান। এই ম্যাচে পাকিস্তান হেরে গেলে টুর্নামেন্ট থেকে অনেকটাই ছিটকে পড়বে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল। তাই পাকিস্তানকে টুর্নামেন্টে টিকিয়ে রাখতেই অতুল পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের হার চান।
আরও পড়ুনভারতের বিপক্ষে পাকিস্তান চাপে থাকবে যে কারণে১ ঘণ্টা আগেভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে অতুল বলেছেন এভাবে, ‘আমি চাই পাকিস্তান জিতুক। কারণ টুর্নামেন্টের জন্য এটাই ভালো হবে। পাকিস্তানকে জিততে না দিলে তারা কী করবে? পাকিস্তান যদি জেতে তাহলে একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি হবে। একটা সমান সমান লড়াই হওয়া উচিত।’
ঋষভ পন্ত ওয়ানডে একাদশে সুযোগ পাচ্ছেন না.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ
বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।
জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদবৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’
‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’