হবিগঞ্জে বিছানায় পড়ে ছিল শিক্ষিকার রক্তাক্ত মরদেহ
Published: 22nd, February 2025 GMT
হবিগঞ্জের বাহুবলে ঘর থেকে এক নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আজ শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওই নারীর নাম মিনারা খাতুন (৩৫)। তাঁর বাড়ি উপজেলার পশ্চিম জয়পুর গ্রামে। তিনি উপজেলার মিরপুর পাইলট স্কুল অ্যান্ড হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক। তিনি বাহুবল উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল আহাদ ইবনে মালেকের স্ত্রী। তিনি জামায়াতে ইসলামীর নারী শাখার নেত্রী ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মিরপুর পাইলট হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক মিনারা খাতুন তাঁর স্বামী ও এক শিশুসন্তানকে নিয়ে উপজেলার জয়পুর গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন। বাড়িটি তাঁরা প্রায় ৬ থেকে ৭ মাস আগে নির্মাণ করেন। গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে নিহতের স্বামী আবদুল আহাদ বাড়িতে এসে দেখেন, তাঁর স্ত্রীর মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহতের স্বামী আবদুল আহাদ দাবি করেন, তিনি তাঁর দল জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক কাজ শেষ করে রাত প্রায় আটটার দিকে বাড়িতে ফেরেন। এসে দেখেন, তাঁর ঘরের দরজা খোলা। পুরো ঘর অন্ধকার। তিনি তাদের শোবার ঘরের বাতি জ্বালিয়ে দেখতে পান, বিছানায় তাঁর স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ। পেটে ছুরি। তাদের সাত মাস বয়সী সন্তান খাটের নিচে পড়ে আছে। তবে ঘরের অন্যান্য জিনিস ঠিকই আছে।
প্রতিবেশীদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয় পুলিশের। প্রতিবেশীরা বলেন, তাঁরা নিহতের স্বামীর চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে যান। তবে এর আগে বা পরে কেউ এ ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানতেন না।
বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, হত্যাকাণ্ডটি রহস্যজনক। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যায়, ছুরিকাঘাতেই ওই শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নিহতের স্বামী ছাড়া পাড়া–প্রতিবেশীদের কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে নিহতের স্বামীর বক্তব্য আমলে নিয়ে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। এখনো মামলা হয়নি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।
উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।
এএএম//