আগে ছিল নিয়ন্ত্রিত স্বৈরাচার, এখন অনিয়ন্ত্রিত স্বৈরাচার: কমরেড খালেকুজ্জামান
Published: 22nd, February 2025 GMT
দেশে আগে শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রিত স্বৈরাচার ছিল আর এখন অনিয়ন্ত্রিত স্বৈরাচার রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) প্রধান উপদেষ্টা কমরেড খালেকুজ্জামান। তিনি বলেন, দেশে এক ক্রান্তিকাল চলছে। মানুষ স্বৈরাচারী-ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, জীবন দিয়েছে গণতান্ত্রিক শাসনের জন্য। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম জনগণকে হতাশ করেছে।
আজ শনিবার বিকেল চারটায় সিলেট নগরের দরগাগেট এলাকায় মুসলিম সাহিত্য সংসদের শহীদ সুলেমান হলে আয়োজিত এক কর্মিসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাসদ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এ সভায় বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ অতিথির বক্তব্য দেন।
বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে সরকারের ভূমিকা জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। আগে ছিল শেখ হাসিনার অধীনে নিয়ন্ত্রিত স্বৈরাচার, এখন অনিয়ন্ত্রিত স্বৈরাচার।
কর্মিসভায় সভাপতিত্ব করেন বাসদ সিলেটের আহ্বায়ক আবু জাফর। বক্তব্য দেন বাসদের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিখিল দাস, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম, সিলেট জেলা বাসদের সাবেক আহ্বায়ক উজ্জ্বল রায়, মৌলভীবাজার জেলা বাসদের আহ্বায়ক মইনুর রহমান, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সিলেটের আহ্বায়ক নাজিকুল ইসলাম, শ্রমিকনেতা মুখলেছুর রহমান, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের আহ্বায়ক মাসুমা খানম, বাংলাদেশ চা-শ্রমিক নেতা বীরেণ সিং, সমাজতান্ত্রিক নির্মাণশ্রমিক ফ্রন্টের নেতা জিতু সেন, ব্যাটারিচালিত যানবাহন সংগ্রাম পরিষদের সহসভাপতি মনজুর আহমদ প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন বাসদ সিলেটের সদস্যসচিব প্রণব জ্যোতি পাল।
কর্মিসভায় বজলুর রশীদ ফিরোজ দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করার আহ্বান জানান। এ ছাড়া সভা শেষে আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো, মব কালচার বন্ধ, ব্যাটারিচালিত যানবাহনের লাইসেন্স প্রদান এবং চা-শ্রমিকদের দৈনিক নগদ মজুরি ৬০০ টাকা ঘোষণা করার দাবিতে একটি মিছিল বের করা হয়। এটি নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইউটিউবে দিনে মাত্র আধা ঘণ্টা ব্যয় করেই শিখতে পারেন ইংরেজি
যেকোনো ভাষা শেখার প্রথম শর্ত হলো, বলতে ও শুনতে শেখা। কিন্তু আমরা ইংরেজি শেখা শুরু করি ব্যাকরণ দিয়ে। এ জন্য দীর্ঘদিন পড়েও আমরা বেশির ভাগ মানুষ ভালো ইংরেজি শিখতে পারি না। অধিকাংশ মানুষের বলায়, শোনায়, নয় তো লেখায় কমবেশি সমস্যা থেকেই যায়।
আপনি শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, অভিভাবক—যা–ই হোন না কেন, ইংরেজিতে নিজেকে খুবই দুর্বল মনে করলে এবং শেখার ইচ্ছা থাকলে এই কাজগুলো করুন।
১০ দিনে, ৩০ দিনে, ৩ মাসে ইংরেজি শেখার যত বই আছে, স্রেফ সরিয়ে রাখুন। এগুলো আপনি কেনেন ঠিকই কিন্তু তিন দিনও ঠিকমতো খুলে দেখেন না।
স্পোকেন ইংলিশের কোচিং বন্ধ করে দিন। কারণ, এই কোচিংয়ে আপনি ভর্তি হন ঠিকই কিন্তু এক সপ্তাহ যাওয়ার পর আর যান না। কিংবা কোচিংয়ে গিয়েও খুব বেশি লাভ আপনার হয়নি।
আপনার মুঠোফোন আছে, আইপ্যাড আছে, বাসায় ইন্টারনেট আছে। প্রতিদিন নিশ্চয়ই ইউটিউব, ফেসবুকে এটা-সেটা দেখে সময় ব্যয় করেন। আজ থেকে টানা ৩০ দিন ইংরেজি শেখায় দিন, আর এই সময়টা শুধু ইউটিউবে দেবেন।
ইংরেজি শেখার নানা চ্যানেল পাবেন ইউটিউবে