দেশ বিনির্মাণে আশার আলো দেখতে পাচ্ছি: মির্জা ফখরুল
Published: 22nd, February 2025 GMT
ফ্যাসিবাদ পতনের পর বাংলাদেশ বিনির্মাণের আশার আলো দেখতে পাচ্ছি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আমরা দেশকে নতুন করে গড়ে তুলবো। এটার জন্য সবার আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন। সত্যিকার অর্থেই আমরা যেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য দেশ তৈরি করতে পারি।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রয়াত সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর মরণোত্তর একুশে পদক পাওয়া উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ পালিয়েছে। দীর্ঘদিন রাজনৈতিক দলগুলো যে চেষ্টা করছে, তারা যে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে, সবশেষে ছাত্র-জনতার সমবেত প্রচেষ্টায় সেটা সম্ভব হয়েছে।
প্রয়াত সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের পরে এবং ২০১৮ সালরের নির্বাচনের আগের সময়টাই তিনি অনেক কাজ করেছে। তখন সব দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে মাহফুজ উল্লাহ, মাহবুব উল্লাহ ও জাফরউল্লাহর অসাধারণ প্রচেষ্টা ছিল। তারা ছিলেন বলেই ডান, বাম সবাই মিলে একটা জায়গায় আসা সম্ভব হয়েছিল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকাল অনেক সাংবাদিকই, নিজেদের আখের গোছানোর জন্য দালালি করে। কথাটা ভাল হলো না বলাটা তারপরও বলতে হলো। বাড়ি ঘর, প্লট সব জোগাড় করে। মাহফুজ উল্লাহর কিছুই ছিল না। চিকিৎসার জন্য তার পরিবারকে বন্ধুদের কাছে হাত পাততে হয়েছে।
আলোচনা সভায় সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর স্মৃতিচারণ করে তার কর্মজীবনের প্রশংসা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। প্রয়াত মাহফুজ উল্লাহর বড় ভাই অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিহউল্লাহ, নজমুল হক নান্নু, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব মোর্শেদ প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম র জ ফখর ল র জন য ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।