সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বিমা কোম্পানিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ)’র ২০২৫-২০২৬ সালের নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এবারের নির্বাচনে সংগঠনটির ৫৩ সদস্য ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ভোট গণনা শেষে নন-লাইফ খাতের বিজয়ী ১০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে নির্বাচন বোর্ড।

নন-লাইফ বীমার নির্বাহী সদস্য পদে সর্বোচ্চ ৪৭টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান সাঈয়্যেদ আহমেদ। পরের অবস্থানে রয়েছেন এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী ইমাম শাহীন। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৪০টি। এ ছাড়াও ৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন জনতা ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক বেলাল আহমেদ।

অন্য সদস্যদের মধ্যে ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (৩১ ভোট), বাংলাদেশ ন্যাশনালের পরিচালক তায়েফ বিন ইউসুফ(৩১ ভোট), সিটি ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান হোসেইন আখতার (৩১ ভোট), রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী ড.

এ কে এম সরোয়ার জাহান জামিল (৩১ ভোট) এবং গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী ফারজানা চৌধুরী(২৯ ভোট)।

এ ছাড়াও ২৮ ভোট পাওয়া ৩ জনের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে ২ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন- অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান কাজী শাখাওয়াত হোসেইন লিন্টু এবং স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী মো. আব্দুল মতিন সরকার।

অন্যদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লাইফ কোম্পানির প্রতিনিধিরা মনোনিত হয়েছেন। তারা হলেন- ডেল্টা লাইফের পরিচালক আদিবা রহমান, বেঙ্গল ইসলামি লাইফের ভাইস চেয়ারম্যান আমিন হেলালী, সন্ধানী লাইফের চেয়ারম্যান মুজিবুল ইসলাম, প্রগতি লাইফের মুখ্য নির্বাহী জালালুল আজিম, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী মো. কাজীম উদ্দিন, পপুলার লাইফের মুখ্য নির্বাহী বি এম ইউসুফ আলী, জেনিথ ইসলামি লাইফের মুখ্য নির্বাহী এস এম নুরুজ্জামান, এনআরবি ইসলামিক লাইফের পরিচালক আরিফ সিকদার, ফারইস্ট ইসলামী লাইফের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম এবং বেস্ট লাইফের পরিচালক সৈয়দ বদরুল আলম।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৪ বছর পর উৎসবের আমেজে ভোট অনুষ্ঠিত হলো বিআইএ’র নির্বাহী কমিটির নির্বাচনে। আজ শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত চলে এই ভোটগ্রহণ। এ বছর সংগঠনটির ৮০ জন সদস্যের মধ্যে ভোটার ছিলেন ৭৬ জন। এর আগে ২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।

বিআইএ’র নির্বাচনে এবারের নন-লাইফ বীমা খাতের ১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ৯ জন চেয়ারম্যান-পরিচালক এবং ১০ জন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা। অপরদিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় লাইফ বীমা খাতে ১০ নির্বাহী সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন বোর্ড।

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: ইন স য র ন স র ম খ য ন র ব হ ৩১ ভ ট ইসল ম সদস য ব আইএ

এছাড়াও পড়ুন:

৩৬ জুলাইকে জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণাসহ ১৩ দাবি ইনকিলাব মঞ্চের

ছাত্র আন্দোলনের ৩৬ জুলাইকে জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণাসহ ১৩ দফা দাবি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।

সোমবার (১৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবির কথা জানায় সংগঠনটি।

সংগঠনটির মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদী বলেন, “আমাদের স্বাধীনতা দিবস আছে, বিজয় দিবস আছে, কিন্তু আমাদের মুক্তি ঘটেনি। তাই ঐতিকহাসিক ৩৬ জুলাইকে জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণা করতে হবে। এ ছাড়াও জুলাই সনদ চূড়ান্ত করার আগে জনগণের মতামতের জন্য তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।”

আরো পড়ুন:

বেগম রোকেয়া পদকের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান

নিরাপদ খাদ্য দিবস শনিবার: ‘নিরাপদ খাদ্য উচ্চ রক্তচাপ ঝুঁকি কমায়’

তিনি বলেন, “গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মৌলিক সংস্কার এবং ২০২৪ সালের গণহত্যার বিচার নিশ্চিত না করে দেশে যদি নির্বাচন আয়োজন করা হয়, তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘গাদ্দার’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এই সনদে ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের নিরিখে বৈষম্যবিরোধী ইনসাফভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুস্পষ্ট রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “সংবিধান থেকে জনবিরোধী ও জুলাই সনদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব ধারা উপধারা বাতিল করে জুলাই সনদকে সাংবিধানের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব দল, মত এবং লিঙ্গের ন্যায্য শরিকানা নিশ্চিত করতে হবে। যেখানে বলা হবে- আমরা বাংলাদেশের জনগণ এই ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান সম্পল্প করেছি।”

সংবাদ সম্মেলনে ইনকিলাব মঞ্চ ১৩টি প্রস্তাবনা তুলে ধরে, যা জুলাই সনদের কার্যকর প্রয়োগ ও জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে।

প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১৯৪৭, ১৯৭১ ও ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করা সব শহীদকে রাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠ সন্তান ঘোষণা করতে হবে;  যেসব জুলাই যোদ্ধার স্থায়ী অঙ্গহানি হয়েছে, তাদের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে; ফ্যাসিবাদী আমলে সংঘটিত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের ভোটারবিহীন অবৈধ নির্বাচন বাতিল করে সংশ্লিষ্ট দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

এছাড়া ফ্যাসিবাদী আমলের সকল মন্ত্রী, এমপি ও দোষী আমলাসহ রাষ্ট্রীয় কর্মচারীদের বিচারের আওতায় এনে অবৈধভাবে উপার্জিত সম্পদ জব্দ করে তা শহীদ ও আহতদের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে; দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা রক্ষায় ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে; জুলাই, পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করে দেশি-বিদেশি অপশক্তি চিহ্নিত করতে হবে; রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার করতে হবে যাতে ফ্যাসিবাদ আর স্বৈরতান্ত্রিকতা কখনও ফিরে না আসে; ৩৬ জুলাইকে জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণা করতে হবে।

বাকি দাবিগুলো হলো- জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের ভিত্তিতে বৈষম্যবিরোধী কল্যাণ রাষ্ট্রের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে; সংবিধান থেকে জনবিরোধী ও জুলাই সনদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব ধারা বাতিল করে জুলাই সনদকে সংবিধানের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব দল, মত ও লিঙ্গের ন্যায্য অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে; জুলাই সনদের ভাষাগত দুর্ব্যবহার পরিহার করে জনসাধারণের জন্য সহজ ভাষায় উপস্থাপন করতে হবে এবং সনদ চূড়ান্ত করার পূর্বে জনগণের মতামতের জন্য তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।

আগামী ২৫ জুনের মধ্যে জুলাই সনদ ঘোষণা করা না হলে রাজধানীর শাহবাগ মোড় থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ অভিমুখে ‘লাল মার্চ’ করার ঘোষণাও দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩৬ জুলাইকে জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণাসহ ১৩ দাবি ইনকিলাব মঞ্চের
  • ধাপে ধাপে ইরানে হামলার যে কৌশল নেয় ইসরায়েল
  • তারুণ্যের ভাবনায় লাল সবুজ সোসাইটি
  • বিজিএমইএর নতুন সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, সহসভাপতি হলেন যাঁরা
  • ‘রক্ত দিয়ে যে আনন্দ পাওয়া যায়, তা আর অন্য কিছুতেই নেই’