শিগগিরই ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির সমঝোতা চুক্তি হবে বলে আশা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার ওভাল অফিসে খনিজ সম্পদ চুক্তির অগ্রগতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা একটি চুক্তি সই করতে যাচ্ছি। আশা করি, যত দ্রুত সম্ভব।’ একই দিনে এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেন ও মার্কিন প্রতিনিধি দল একটি খসড়া চুক্তি নিয়ে কাজ করছে। আমি একটি ন্যায্য ফলাফল আশা করছি।’ 

ইউক্রেনে তিন বছর ধরে চলমান যুদ্ধ বন্ধে গত মঙ্গলবার প্রথম আলোচনার টেবিলে বসে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া। তবে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ছিল না খোদ ইউক্রেনই। ইউক্রেনকে পাশ কাটিয়ে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করেছে মস্কো ও ওয়াশিংটন। এর পর আলোচনায় জেলেনস্কির না থাকার কারণে হিসেবে তাঁকে ‘গুরুত্বহীন’ বলে বর্ণনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না জেলেনস্কি উপস্থিত থাকার মতো গুরুত্বপূর্ণ। তিনি চুক্তি কঠিন করে দেন।’
 
এদিকে ক্রেমলিন বলেছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সরাসরি বৈঠক এ মাসেই হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনা চলমান থাকবে। দুই নেতার বাইরে প্রতিনিধিরাও বৈঠক করবেন। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউক র ন ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ