সমাজের অবহেলিত, অসহায় ও এতিম শিশুর পাশে দাঁড়িয়ে সাইফুল ইসলাম সুজন হয়ে উঠেছেন তাদের আপনজন। দীর্ঘদিন ধরে এতিম ও দরিদ্র শিশুর জন্য বিভিন্ন সামাজিক এবং কল্যাণমূলক কাজ করে আসছেন এই তরুণ। এতিমখানার শিশুরাও সুজনকে পেলে আনন্দে আত্মহারা হয়ে এঠে। শুধু আর্থিক সাহায্যই না, তাদের খাবার, পোশাক, শিক্ষাসামগ্রীর ব্যবস্থাও করেন সুজন। এ ছাড়াও এতিমখানায় গিয়ে তিনি তাদের সঙ্গে সময় কাটান। পড়াশোনার খোঁজখবরের পাশাপাশি দেন মানসিকভাবে সাহস।
সুজনের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার ইরুয়াইন গ্রামে। ছোটবেলা থেকেই অভাব, দারিদ্র্যকে জয় করে সুজনের স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে সমাজের অসহায়, এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে কেমিস্ট্রিতে মাস্টার্স সম্পন্ন করে গ্রামের একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার পাশাপাশি এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। নিজের কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘মানুষ যদি এতিম এবং অসহায়দের পাশে দাঁড়ায় তবে একদিন ঠিকই এতিম শিশুদের কষ্ট কমে আসবে। তারাও স্বপ্ন দেখবে দেশ গড়ার। সুন্দর আগামীর জন্যই মানবিক এই কাজ আজন্ম অব্যাহত রাখতে চাই!’ u
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এত ম
এছাড়াও পড়ুন:
১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’
জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত ১১ দলের ১১টি নতুন প্রযোজনা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’। জাতীয় নাট্যশালায় গত ৩১ জুলাই শুরু হওয়া এই নাট্যোৎসব চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসবে নাট্যরূপে উঠে আসছে ইতিহাস, আন্দোলন ও সময়ের গল্প।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন গতকাল শুক্রবার জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় ‘শুভঙ্কর হাত ধরতে চেয়েছিল’। তীরন্দাজ রেপার্টরি প্রযোজিত নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় দীপক সুমন। গতকালই ছিল এ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মঞ্চস্থ নতুন এ নাটক নিয়ে আলোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে উল্লেখযোগ্য দর্শকের উপস্থিতি ছিল। দর্শকদের অনেকেই বলছেন, এই নাটকে যেন এক নাগরিকের নির্জনতা, এক প্রেমিকের না-পাওয়া, এক বিপ্লবীর বিষণ্নতা আর এক সাধারণ মানুষের অসহায়তা একসূত্রে বাঁধা পড়েছে।