Samakal:
2025-11-03@20:52:45 GMT

ভুলের দেয়ালে সিদ্ধান্তের পেরেক

Published: 22nd, February 2025 GMT

ভুলের দেয়ালে সিদ্ধান্তের পেরেক

হঠাৎ আবিষ্কার করলেন আশপাশে কেউ নেই আপনার। দুঃখগুলো নিজেই পুষে যাচ্ছেন আনমনে। শোনার কেউ নেই। সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। আপনাতে দৃষ্টি নেই কারও। নিজের প্রিয় মানুষটাও ইদানীং ব্যস্ত চাকরি নিয়ে। কখনও নিজেকে নিয়ে। ফিরে তাকানোর সময় কোথায়? আপনার চাকরি নেই, তাই হয়তো আর্থিকভাবে সাপোর্ট দিচ্ছেন তিনি। আপনার প্রতি তাকিয়ে মিষ্টি হেসে দুটি আশার কথা শোনানোর সময় নেই তার। ভাবছেন আত্মহত্যা কিংবা ছাড়ার কথা। অথবা অন্য কিছু?
প্রতিনিয়ত চলার পথে এমন সমস্যা ঘটেই চলেছে। কেউ এগুলো সহজে কাটিয়ে ওঠেন, কেউ আবার ফেঁসে যান। ফেঁসে যাওয়া মানুষের সংখ্যাই ঢের! খুব কম মানুষই চূড়ান্ত সময়ে নিজেকে উদ্ধার করতে পারেন। 
বাধার মুখোমুখি
চলতি পথে বাধার মুখোমুখি হতেই হয় আমাদের। এটিই স্বাভবিক। এ নিয়ে নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে ভাবনায় বসে কাজ নেই। শুধু মানসিক অবস্থাটা শক্ত রাখুন। যে কোনো সময় যে কোনো বাধার মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন। মাথায় রাখবেন– আপনাকে এসব বাধা পেরোতেই হবে। পাশ কাটিয়ে বা বাদ দিয়ে সামনে যাওয়া সম্ভব না। কিংবা থেমে যাওয়াও যাবে না। পথ একটাই- সামনে এগিয়ে যাওয়ার। 
রুখে দাঁড়ানোই সহজ রাস্তা
কখনও কোনো অবস্থাতেই বাধাকে পাশ কাটিয়ে চলার চেষ্টা করবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে। সবসময় চেষ্টা করবেন রুখে দাঁড়াতে। এতে হয়তো কষ্ট  হবে। এটিই সবচেয়ে সহজ রাস্তা। একবার যদি রুখে দিতে পারেন, একবার যদি তাকে চোখ রাঙাতে পারেন, এরপর আর মনের ভেতর ভয়টা কাজ করবে না। পরবর্তী বাধাগুলো সহজেই ডিঙিয়ে যেতে পারবেন।
ঠান্ডা মাথায়.

..
আপনার জীবন প্রবহমান। এই প্রবহমানতা থাকা মানেই সমস্যার চোখ রাঙানির মুখোমুখি হওয়া। বয়ে চলা জীবনে সমস্যা, ভাবনা, কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় জীবনে বহুবার আসবে। প্রতিবারই এসব টেক্কা দিতে হবে। এই চিন্তাটা যখন মাথায় রাখবেন, দেখবেন ভাবনার জগৎটা আপনার হয়ে গেছে অনেক সহজ এবং সাবলীল। 
সমাধানের সহজপাঠ
প্রচণ্ড দুঃসময়ে সাধারণত কাউকে কাছে পাওয়া যায় না। এটিই প্রকৃতিপ্রদত্ত সমস্যা। তাই চিন্তা-ভাবনা করে তা থেকে ফল বের করা নিজের কাঁধেই বর্তায়। তারপরও যদি সুযোগ থাকে তবে 
ব্যক্তিত্বসম্পন্ন কারও কাছ থেকে পরামর্শ নিন। আপনার যদি পরামর্শে অ্যালার্জি থাকে তবে বড়রা যেভাবে এমন বিপদ সামলে উঠেছেন তাদের দিকে চোখ বোলান। কেউ পরামর্শ দিতে চাইলে সেই পরামর্শগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনুন। u

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আপন র সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

প্রস্থেটিক মেকআপ আর্টে সোনালী মিতুয়ার বাজিমাত

বাংলাদেশের মেকআপ আর্ট জগতে নীরবে নতুনত্ব যোগ করে যাচ্ছেন সোনালী মিতুয়া। তার শৈল্পিক ইলিউশন এবং বডি পেইন্টিংগুলো আন্তর্জাতিক মানের, যা দেখে চোখ ফেরানো দায়। বর্তমানে ফিনল্যান্ডে মেকআপের ওপর উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন এই শিল্পী, যার ক্যানভাসে শৈশবের প্রথম গন্ধ ছিল তেল রং আর থিনারের তীব্রতা। মেকআপ ব্যবহার করে তিনি যে ক্যানভাস তৈরি করেন-তা এক কথায় অনন্য, অসাধারণ। 

সোনালী মিতুয়া কখনও তার মুখে ফুটে ওঠে ফাটল ধরা পৃথিবী, যেখান থেকে গজিয়ে ওঠে সবুজ লতা। কখনও দেখা যায় তার মুখটাই এক অর্ধেক যন্ত্র, অর্ধেক প্রকৃতি, যেন মানুষ আর মেশিনের মাঝের এক অদ্ভুত, কাব্যময় দ্বন্দ্ব।আর কখনও সেই মুখটাই অন্ধকারে মিলিয়ে যায়, শুধু দেখা যায় এক ভয়ঙ্কর কালো গহ্বর — যেন মানুষের শূন্য আত্মা। এগুলো কোনো সিনেমার দৃশ্য না।এগুলো এক তরুণী মেকআপ আর্টিস্টের সৃষ্ট জীবন্ত শিল্পকর্ম।

আরো পড়ুন:

একা বাস করতে পারে যে পাখি

কেউ কটূক্তি করলে কী করবেন?

সোনালী মিতুয়ার মেকআপে একটা গল্প, একটা দর্শন, একটা গভীর বার্তা লুকিয়ে থাকে। যেখানে অধিকাংশ মানুষ মেকআপকে শুধু প্রসাধনের জগতে দেখে, সে সেখানে মেকআপকে তুলেছে এক উচ্চমাত্রার শিল্প হিসেবে। তার হাতে রঙ মানে—চামড়ার ওপরে নয়, বরং আত্মার ভাষা প্রকাশের এক মাধ্যম।

তার কাজে দেখা যায় প্রস্থেটিক মেকআপের প্রভাব— যেখানে মুখ বদলে যায়, গড়ে ওঠে নতুন রূপ, নতুন চরিত্র। এমন কৌশল একদিন তাকে সিনেমার পর্দায় প্রস্থেটিক আর্টিস্ট হিসেবে বড় জায়গায় নিয়ে যাবে—
এ কথা বলার জন্য বিশেষজ্ঞও হতে হয় না। 

এই মেয়েটির সবচেয়ে বড় শক্তি তার কল্পনাশক্তি। সে মুখের ভেতরেই ফুটিয়ে তোলে গল্প—একদিকে প্রকৃতি, ফুল, প্রজাপতি; অন্যদিকে প্রযুক্তি, ধ্বংস আর শূন্যতা। দেখলে মনে হয়, এই দুইয়ের টানাপোড়েনেই গড়ে উঠেছে তার শিল্পজগৎ।

বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য এই মেয়েটি এক অনুপ্রেরণা। সে প্রমাণ করছে—শিল্পের ভাষা যদি শক্ত হয়, তাহলে দেশের সীমা পেরিয়ে বিশ্বেও পৌঁছানো যায়। যেখানে মেকআপকে এখনো অনেকেই কেবল সাজের কাজ মনে করেন, এই মেয়েটি সেখানে দেখিয়েছে — মেকআপও হতে পারে দর্শন, প্রতিবাদ আর সৃষ্টির ক্যানভাস। 

তিনি জানেন,  প্রস্থেটিক আর্টে (বিশেষত কৃত্রিম অঙ্গ, ক্ষত বা ফ্যান্টাসি চরিত্র তৈরি) করা যায় দক্ষতার সাথে।  বর্তমানে বাংলাদেশের সিনেমায় যেখানে প্রস্থেটিকের ব্যবহার খুবই সীমিত, সেখানে সোনালী মিতুয়ার মতো একজন আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিল্পী আছেন, তার হাতেই তৈরি হতে পারে বাংলাদেশের ইতিহাসের চরিত্রদের নিখুঁত রূপ, অথবা আমাদের ফ্যান্টাসি সিনেমার ভিনগ্রহের প্রাণী।

সোনালী মিতুয়ার কাজগুলো দেখলেই বোঝা যায়, তিনি মেকআপকে স্রেফ সৌন্দর্যবর্ধনের মাধ্যম হিসেবে দেখেন না, বরং এটিকে একটি শক্তিশালী গল্প বলার হাতিয়ার মনে করেন। 

একটা ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন মানুষ প্রকৃতির মাঝে ফাটল ধরা পাথরের মতো এক রূপ ধারণ করেছেন। সবুজ, হলুদ ও লালের মিশ্রণে চোখের অংশটি গভীর এবং রহস্যময়, আর ফাটলের ভেতর দিয়ে বেরিয়ে আসা লতা-পাতা জীবনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এটি তার পরিবেশ-সচেতনতা এবং ফ্যান্টাসি আর্টের দক্ষতা প্রমাণ করে।

সাদাকালো স্কেচের মতো দেখতে এই মেকআপটি অত্যন্ত কঠিন এবং চোখে পড়ার মতো। মুখের প্রতিটি অংশে পেন্সিল বা চারকোল দিয়ে আঁকা হ্যাচিংয়ের মতো স্ট্রোকগুলো ত্রিমাত্রিক চেহারাটিকে দ্বিমাত্রিক কমিক-বুক বা নয়ার চলচ্চিত্রের চরিত্র হিসেবে ফুটিয়ে তুলেছে।

চোখ ও মুখের চারপাশে মাকড়সার জাল এবং ফুলা, রক্তবর্ণ চোখের পাপড়ি ভীতি ও কষ্টের এক শক্তিশালী অনুভূতি জাগায়। এটি বিশেষ করে হ্যালোইন বা হরর থিমের জন্য পারফেক্ট।

গভীর অন্ধকারে তোলা এই ছবিটি ‘অন্ধকার গহ্বর’ বা ‘কৃষ্ঞগহ্বর’ থিমের একটি চমকপ্রদ ইলিউশন মেকআপ। নিখুঁত কনট্যুরিং এবং রঙের ব্যবহারে মুখের এক অংশে যেন সত্যিই একটি ফাঁকা, গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কারা বেশি কাঁদেন? 
  • বর্তমান সংকটের জন্য সরকার দায়ী, দলগুলোর চাপে সিদ্ধান্ত বদল
  • প্রস্থেটিক মেকআপ আর্টে সোনালী মিতুয়ার বাজিমাত