শেষ হলো সেন্ট গ্রেগরী স্কুলের বিজ্ঞান উৎসব
Published: 23rd, February 2025 GMT
রাজধানীর লক্ষ্মীবাজারে সেন্ট গ্রেগরী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে (এসজিএইচএসসি) তিন দিনব্যাপী ১৬তম জাতীয় বিজ্ঞান উৎসব শেষ হয়েছে। রোববার সমাপনী আয়োজনের মধ্য দিয়ে পর্দা নামে এবারের উৎসবের। এদিন বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিকাগোর সেন্ট জেভিয়ার্স ইউনিভার্সিটির গ্রাহাম স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা ডিন ও জিএনএ চেয়ারম্যান ফয়সাল এম রহমান; লেকচার পাবলিকেশন লিমিটেডের বিক্রয় ও বিপণন ব্যবস্থাপক নিজাম আহমেদ, এসজিএইচএসসির গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান কমল কোরায়া। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সেন্ট গ্রেগরী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ব্রাদার প্লাসিড পিটার রিবেরু।
গ্রেগরিয়ান ফয়সাল এম রহমান বলেন, ‘বিজ্ঞানের গুরুত্ব অপরিহার্য। অর্থনৈতিক উন্নয়নের দ্রুততম ও সর্বোত্তম পথ হিসেবে এর ভূমিকাকে কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না।’
তিন দিনব্যাপী ১৬তম জাতীয় বিজ্ঞান উৎসবের পর্দা ওঠে গত ২০ ফেব্রুয়ারি। মাঝখানে এক দিন একুশে ফেব্রুয়ারির জন্য অনুষ্ঠানটি বন্ধ ছিল। ‘আজকের উদ্ভাবন আগামীর সুরক্ষা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হয় এই আয়োজন।
তিন দিনব্যাপী বার্ষিক বিজ্ঞান উৎসবে শিক্ষার্থীরা পাঁচটি গ্রুপে অংশ নেয়। উৎসবে ছিল—অলিম্পিয়াড, দুই ক্যাটাগরির সায়েন্স প্রজেক্ট, বিজ্ঞানভিত্তিক ওয়াল ম্যাগাজিন প্রতিযোগিতা, গেম ইভেন্ট: হান্ট দ্য পিরিয়ডিক টেবিল এবং মিউজিয়াম স্পেসিমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন।
সেন্ট গ্রেগরী স্কুল কর্তৃপক্ষ ১৯৬০ সালে প্রথম বিজ্ঞান উৎসব শুরু করে। বিজ্ঞান উৎসব, স্কাউট, বাস্কেটবলের সূতিকাগার এই বিদ্যাপীঠের বিজ্ঞান মেলা আয়োজন এক বিশাল মহোৎসব, যেন বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানচর্চার এক বিশাল দিগন্ত।
গ্রেগরিয়ান সায়েন্স ক্লাব শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এই উৎসবের আয়োজন করে। এবারের উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মাল্টিফ্যাবস লিমিটেড, সহযোগী পৃষ্ঠপোষক লেকচার পাবলিকেশনস লিমিটেড এবং মিডিয়া পার্টনার যমুনা টেলিভিশন ও বিজ্ঞানচিন্তা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব জ ঞ ন উৎসব উৎসব র
এছাড়াও পড়ুন:
এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
দ্বিতীয় বছরের মত কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের কোনো সিনেমাা বা তথ্যচিত্র দেখানো হচ্ছে না। সম্প্রতি কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব কমিটির তরফে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানানো হয়ছে। পরবর্তীতে কমিটির তরফে তাদের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে যে ছবি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে কোন ক্যাটাগরিতেই বাংলাদেশি সিনেমার নাম উল্লেখ নেই।
মূলত ভিসা জটিলতা এবং রাজনৈতিক কারণেই এই চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের উপস্থিতি থাকছে না।
বিষয়টি নিয়ে গত বছরই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারপার্সন পরিচালক গৌতম ঘোষ। সেসময় তাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। সেদেশে ভিসা সমস্যা রয়েছে। আর বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসতে অনেকটা সময় লাগবে। স্বাভাবিকভাবেই এই অবস্থায় চলচ্চিত্র উৎসবের তালিকায় বাংলাদেশের কোনো ছবি নেই। আমরা আশা করব চলচ্চিত্র উৎসবের পরবর্তী এডিশনের (৩১ তম) আগে প্রতিবেশী দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।”
কিন্তু এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও অবস্থার যে কোনো পরিবর্তন হয়নি তা চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের অনুপস্থিতির ঘটনাটাই পরিষ্কার।
যদিও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জুরি কমিটির এক সদস্য বলেছেন, “আন্তর্জাতিক বিভাগে বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র একটি ছবি জমা দেওয়া হয়েছিল। তানভীর চৌধুরীর ‘কাফ্ফারাহ’। কিন্তু দুঃখের বিষয় এটি আমাদের কাঙ্ক্ষিত মানদণ্ড পূরণ করতে পারেনি। ফলে চলচ্চিত্র উৎসবে এই ছবিটি জায়গা পায়নি।”
চলতি বছরের ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে ৩১ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এক সপ্তাহব্যাপী এই উৎসব চলবে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এই উৎসবে ৩৯ টি দেশের ২১৫ টি ছবি দেখানো হবে। ভারত ছাড়াও অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড, বেলজিয়াম, ইতালি, ব্রাজিল, মরক্কো, অস্ট্রিয়া, তুরস্ক, বলিভিয়া, গুয়েতেমালা, শ্রীলংকা, চীন, জাপান, ইরান, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, ফিলিস্তিন, ইরাক, সৌদি আরব, মিশর, সুদান, লেবানন।
সুচরিতা/শাহেদ