নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ,
Published: 24th, February 2025 GMT
দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরুর পর রাওয়ালপিন্ডিতে এবার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ড। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে টস হেরে ব্যাটিং করবে বাংলাদেশ। খেলাটি শুরু হবে বিকেল ৩টায়।
কী বলছে পরিসংখ্যান
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ-নিউ জিল্যান্ড মুখোমুখি হয় একবার। শেষ হাসি হাসে তারাই। সব মিলিয়ে একুশ দেখায় লাল সবুজের জয় মাত্র তিনটিতে। এবার বাঁচা-মরার লড়াইয়ে প্রতিপক্ষকে ছাড় দিতে চায় না বাংলাদেশ।
আরো পড়ুন:
কার্ডিফের সুখস্মৃতি নিয়ে বাঁচা মরার লড়াইয়ে বাংলাদেশ
পিন্ডি জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে কিউই বধে নামবে বাংলাদেশ
পিন্ডি জয়ের অনুপ্রেরণা
রাওয়ালপিন্ডির মাটিতে পাকিস্তানকে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্টে ধবলধোলাই করে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। সেই মাঠেই আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এবার লাল সবুজের দলের প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ড। বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্সের আশা এই অর্জন কিউইদের বিপক্ষে অনুপ্রেরণা দেবে।
“আশা করি কাজ করবে। পাকিস্তানে এসে পাকিস্তানকে হারানো কোনো সহজ কাজ নয়। এটা তাদের (বাংলাদেশ ক্রিকেট দল) অনেক আত্মবিশ্বাস দেবে। আশা করি, এই মাঠ নিয়ে তাদের চিন্তার জগতে বিষয়টি প্রভাব রাখবে।”
তিনশর বেশি রানের সক্ষমতা
এবার দেশ, ভেন্যুর সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে প্রতিপক্ষও। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির যে উইকেটে খেলবে বাংলাদেশ, সেখানে রীতিমত হয় রান উৎসব। শান্তরা রাওয়ালপিন্ডির এই উইকেটে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে রান উৎসবে শামিল হতে পারবেন তো? নাকি আবারও বিব্রতকর ব্যাটিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়বেন?
“হ্যাঁ, শেষ পাঁচ ম্যাচের কয়েকটিতে আমরা তিনশর বেশি রান করেছি। আমাদের এটি করার সক্ষমতা রয়েছে। শেষ ম্যাচে আমরা ভালো শুরু করতে পারিনি। দুইশ রানে থেমেছি। আমরা যদি ভালো শুরু করতে পারি তাহলে তিনশর বেশি রান হবে” -বলেছেন সিমন্স।
আটঘাট বেধেই নামছে কিউইরা
জয় দিয়ে এক পা সেমিতে রাখা নিউ জিল্যান্ড মাঠে নামছে আটঘাট বেঁধেই। অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার বলেন, “হ্যাঁ, বাংলাদেশের জন্য আমাদের কয়েকটি পরিকল্পনা আছে, কিন্তু আমি মনে করি আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে উইকেট কী করে। যদি এটি বেশ ফ্ল্যাট হয় তবে, আমি মনে করি, করাচিতে যা করেছি এখানেও তা করতে হবে।”
ঢাকা/রিয়াদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কানাডায় নির্বাচন: মার্ক কার্নির লিবারেল সদর দপ্তরে উৎসব শুরু
কানাডায় ভোট গ্রহণ শেষে চলছে গণনা। ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল আসতে আরও খানিকটা সময় লাগবে। তবে এরই মধ্যে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির দল লিবারেল পার্টির সদর দপ্তরে উৎসব শুরু হয়ে গেছে। কারণ, দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিবিসি বলেছে, এবার লিবারেল সরকার হতে চলেছে।
কানাডার ৩৪৩ আসনের হাউস অব কমন্সে লিবারেল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে, নাকি তাদের সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে মার্ক কার্নিই যে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, লিবারেল ১৫৬টি আসনে এগিয়ে আগে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করতে চাই ১৭২টি আসন। খুব একটা পিছিয়ে নেই প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টি। দলটি ১৪৭ আসনে এগিয়ে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আমাদের নির্বাচন থেকে দূরে থাকুন। কানাডা সব সময় গর্বিত, সার্বভৌম ও স্বাধীন দেশ থাকবে এবং আমরা কখনো ৫১তম অঙ্গরাজ্য হব না।—পিয়েরে পলিয়েভর, বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির নেতাপুরোপুরি বদলে যাওয়া এক নির্বাচনী পরিবেশে গতকাল সোমবার ভোট দিয়েছেন কানাডার জনগণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপ এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করার ইচ্ছা দেশটিতে নির্বাচনের আগে প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছিল।
ট্রাম্পের এ ধরনের হুমকি কানাডায় দেশপ্রেমের জোয়ার সৃষ্টি করেছে। এমন পরিস্থিতিতে লিবারেল পার্টির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী মার্ক কার্নির প্রতি জনসমর্থন বেড়ে যায়।
লিবারেল ১৫৬টি আসনে এগিয়ে আগে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করতে চাই ১৭২টি আসন। খুব একটা পিছিয়ে নেই প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টি। দলটি ১৪৭ আসনে এগিয়ে।অথচ যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ ও ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক কথাবার্তা শুরু হওয়ার আগে জরিপে প্রতিদ্বন্দ্বী পিয়েরে পলিয়েভরের কনজারভেটিভ পার্টি থেকে সামান্য পিছিয়ে ছিল কার্নির লিবারেল দল। ট্রাম্প কানাডাকে নিয়ে আক্রমণাত্মক কথা বলা শুরু করলে কানাডীয়দের মধ্যে দেশপ্রেমের জোয়ার ওঠে এবং জরিপের পূর্বাভাসে হঠাৎ বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
ভোটের দিন সকালেও ট্রাম্প কানাডাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন। ট্রাম্প লিখেছেন, কানাডা যদি যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম কাঙ্ক্ষিত অঙ্গরাজ্য হয়, তবে শূন্য শুল্কের সম্মুখীন হবে।
লিবারেল পার্টির সদর দপ্তরে সমর্থকদের উল্লাস