নোবিপ্রবির সঙ্গে ইবনে সিনা ট্রাস্টের চুক্তি স্বাক্ষর
Published: 25th, February 2025 GMT
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সঙ্গে ইবনে সিনা ট্রাস্টের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নোবিপ্রবি উপাচার্যের কার্যালয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। এ সময় নোবিপ্রবির পক্ষে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তামজীদ হোছাইন চৌধুরী এবং ইবনে সিনা ট্রাস্টের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির এজিএম ও হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট মোহাম্মদ নিয়াজ মাখদুম শিবলী স্বাক্ষর করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড.
তিনি বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যে টেকনিক্যাল স্টাফরা রয়েছেন, তাদের কোনো সাপোর্ট এবং এক্সপার্টিজ নলেজ যদি প্রয়োজন হয়, তা বিনিময়ের মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠানই উপকৃত হবে। আমাদের শিক্ষার্থীরাও বাস্তব এবং প্রায়োগিক ক্ষেত্রে এর মাধ্যমে কাজ করার সুযোগ পাবে।”
ইবনে সিনা ট্রাস্টের এজিএম ও হেড অব বিজনেস ডেভলপমেন্ট মোহাম্মদ নিয়াজ মাখদুম শিবলী বলেন, “এ চুক্তির আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য ইবনে সিনা, নোয়াখালীর ব্রাঞ্চগুলো থেকে সব প্যাথলজিক্যাল টেস্টে ৪০ শতাংশ এবং অন্যান্য ব্রাঞ্চ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় প্রদান করা হবে।”
তিনি বলেন, “পিসিআর টেস্টের ক্ষেত্রে সব ব্রাঞ্চে ৩৫ শতাংশ, সব ধরনের রেডিওলজিক্যাল এবং ইমেজিং টেস্টের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ ছাড় প্রদান করা হবে। এছাড়াও প্রত্যেক ফিজিওথেরাপি সার্ভিসের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ছাড় প্রদান করা হবে। এ চুক্তির আওতায় নোবিপ্রবির শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ, শহীদ মুগ্ধ মেডিকেল সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার (প্রশাসন) ড. মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম, ইবনে সিনা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নোয়াখালী ব্রাঞ্চের ম্যানেজার (অ্যাডমিন) ও ইনচার্জ এএসএম গোলাম মোর্তুজা, সিনিয়র অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার (অ্যাডমিন) জালাল আহমেদ পাটোয়ারি, জোনাল ইনচার্জ (বিজনেস ডেভলপমেন্ট) সায়েদ মো. আব্দুল হাকিম প্রমুখ।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস