গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাইকারী সন্দেহে পিটুনিতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টঙ্গীর স্টেশনরোড এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে নিহত ওই যুবকের নাম–ঠিকানা জানাতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে স্টেশনরোড এলাকায় এক পথচারীর মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন ওই যুবক। এ সময় স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি তাঁকে ধরে ফেলেন। পরে তাঁকে স্টেশনরোডসংলগ্ন একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে পিটুনি দেন উপস্থিত লোকজন। এ সময় ওই যুবকের শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে।

পরে টঙ্গী পূর্ব থানার পুলিশ রাত সাড়ে ১০টার দিকে আহত যুবককে উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

টঙ্গী পূর্ব থানার উপপরিদর্শক মো.

এহতেশাম প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মূলত ছিনতাইয়ের অভিযোগে স্থানীয় লোকজন তাঁকে পিটুনি দিয়েছেন। তবে এখনো তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নের মৃত্যু

২৬ জুলাই ২০২৪, প্যারিসের টুইলারি বাগান। আকাশে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। সেই বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যাতেই জ্বলে উঠেছিল অলিম্পিক মশাল। শতবর্ষ পার করা চার্লস কস্তের জীবনে সেটাই ছিল ‘সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্তগুলোর একটি’। সেদিন তিনি হাতে থাকা মশাল তুলে দিয়েছিলেন ফরাসি অলিম্পিয়ান টেডি রিনারের হাতে।

প্যারিস অলিম্পিক শুরুর প্রায় এক মাস আগে আয়োজকদের কাছ থেকে ফোন পেয়েছিলেন তিনি। অনেকটা নিভৃতেই তাঁকে জানানো হয়েছিল, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষ দিকে মশালবাহকদের একজন হবেন তিনি।

১০১ বছর বয়সী সেই চার্লস কস্তে আর নেই। ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রী মারিয়ানা ফেরারি গতকাল তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। এর মধ্য দিয়ে বিদায় নিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক সাবেক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন।

১৯২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেওয়া কস্তে ছিলেন ট্র্যাক সাইক্লিস্ট। ১৯৪৮ সালের লন্ডন অলিম্পিকে ছেলেদের টিম পারস্যুট ইভেন্টে তিনি জেতেন স্বর্ণপদক।

২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে টেডি রেনার ও মেরি জোজের মশাল প্রজ্জ্বলন করছেন চার্লস কস্তে

সম্পর্কিত নিবন্ধ