পাকিস্তানের বাঁ-হাতি টপ অর্ডার ব্যাটার ফখর জামান ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা ভাবছেন। সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম এই খবর দিয়েছে। 

তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাড়াহুড়ো করে কোন সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য ফখরকে অনুরোধ করেছে। পিসিবি তাকে সময় নিয়ে ভাবার ও পুরোপুরি ফিট হয়ে ক্রিকেট শুরু করার পরামর্শ দিয়েছে। 

ফখর জামান কয়েক বছর ধরে ইনজুরিতে ভুগছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগেও ইনজুরিতে পড়েন তিনি। তার ফিটনেস নিয়ে শঙ্কা ছিল। তবে টুর্নামেন্টের আগে ফিট হয়ে পাকিস্তান দলে নাম তোলেন। ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দেওয়া ওই ফখর প্রথম ম্যাচেই ইনজুরি নিয়ে দলের বাইরে চলে যান। 

ইনজুরির ওই হতাশায় তিনি ক্রিকেট ছাড়তে চান বলে খবর। সূত্র জানিয়েছে, ফখর মানসিকভাবে খুব হতাশ। ইনজুরি ও শারীরিক জটিলতায় তিনি ক্রিকেট ছাড়তে চান। 

সূত্র আরও বলেছে, ফখরের কিছু শারীরিক জটিলতা আছে। যে কারণে শারীরিক ও মানসিকভাবে তিনি খুব হতাশ সময় পার করছে। ২০২২ সাল থেকে হাঁটুর ইনজুরিতে ভুগছেন ফখর। যে কারণে তিনি শুধু টি-২০ ফরম্যাটে মনোযোগ দিতে চান। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইনজ র

এছাড়াও পড়ুন:

ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে শিক্ষক ও অফিস সহায়ককে বিদায়

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে স্কুল শিক্ষক ও অফিস সহায়ককে বিদায় জানিয়েছেন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সিনিয়র শিক্ষক আজিবর রহমান ও অফিস সহায়ক মশিয়ার রহমানকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়।

বিদায় সংবর্ধনা উপলক্ষে বিদ্যালয়ের হলরুমে স্মৃতিচারণামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. দেদারুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন আলম, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন তোতা, সিনিয়র শিক্ষক রুহুল আমিন প্রমুখ।

আরো পড়ুন:

সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৩৬ দিনেও স্কুলছাত্রী উদ্ধার হয়নি

স্কুল ভবনে ক্লাস চলাকালে বিধ্বস্ত হয় প্রশিক্ষণ বিমান

আয়োজকরা জানান, দীর্ঘদিন শিক্ষক আজিবর রহমান ও অফিস সহায়ক মশিয়ার রহমান এই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। সম্প্রতি তারা অবসরে গেছেন। তাদের বিদায় সংবর্ধনা স্মরণীয় করে রাখতে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে বিদায় জানানো হয়েছে। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষক আজিবর রহমান বলেন, ‘‘দীর্ঘ ২১ বছর এই বিদ্যালয়ে চাকরি করেছি। চলার পথে কোনো ভুল-ত্রুটি হলে সবাই ক্ষমা করবেন। চাকরি জীবন শেষে এমন সংবর্ধনা পাব কল্পনাও করিনি। এ জন্য আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’’ এ সময় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন তোতা বলেন, ‘‘চাকরি জীবনে সবাইকেই অবসর নিতে হবে। আজ আমরা ইংরেজি শিক্ষক আজিবর রহমান ও অফিস সহায়ক মশিয়ার রহমানকে বিদায় জানিয়েছি। এটা কষ্টের হলেও সবাইকে মেনে নিতে হবে। বিদায়ের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে তাদের দুজনকে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে বিদায় জানানো হয়েছে।’’

ঢাকা/সোহাগ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে শিক্ষক ও অফিস সহায়ককে বিদায়