ঘরের আড়ায় ঝুলছিল পুলিশ সদস্যের মরদেহ
Published: 26th, February 2025 GMT
কুষ্টিয়ার মিরপুরে নিজ ঘর থেকে রাকিবুল ইসলাম (২৬) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিরপুর উপজেলার কাতলামারী গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
রাকিবুল ওই এলাকার সামু আলীর ছেলে। তিনি ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ লাইনসে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২১ জানুয়ারি ছুটিতে বাড়ি আসেন রাকিবুল। এর পর থেকে তিনি বাড়িতেই ছিলেন। আজ সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে নিজ ঘরের বাঁশের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে তিনি। এ সময় তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম বলেন, ছুটি শেষ হলেও রাকিবুল কর্মস্থলে ফেরেননি। আজ পুলিশ তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’